কলকাতা ব্যুরো: বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো দিল্লির রোহিনী কোর্ট চত্বর। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কোর্টের ভিতর একটি ল্যাপটপ কোনও ভাবে ফেটে গিয়ে এই ঘটনা। তবে আসল কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১০টা ৪০ নাগাদ বিকট শব্দ শোনা যায় কোর্ট চত্বরে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। এই ঘটনার পর আদালতের কাজকর্ম স্থগিত রাখা হয়। এই ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় আদালত চত্বরে। শুনানি বন্ধ রাখা হয়। একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় একটি ল্যাপটপ মাটিতে পড়ে রয়েছে এবং পুলিশ আধিকারিকরা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন।
কিছুদিন আগেই রোহিণী কোর্টে বিচারকের সামনে গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র মান ওরফে গোগীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার ঘটনায় চমকে উঠেছিল গোটা দেশ। এই ঘটনার পর ফের একবার শিরোনামে দিল্লির রোহিণী আদালত।
সূত্রের খবর, ১০২ নম্বর কোর্টরুমে এই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার পরই পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। আদালতের কাজকর্মও বন্ধ করে দেওয়া হয়। রোহিনী বারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ল্যাপটপের ব্যাটারিতে কোনও সমস্যার কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটে।

যদিও অপর এক সূত্রের দাবি, কোনও একটি কৌটোর মধ্যে কিছু ছিল। যা এদিন ফেটে এই পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই আদালতে পৌঁছেছে ফরেনসিক টিম ও অপরাধদমন শাখার আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর, দিল্লির রোহিনী কোর্টে গুলি চালায় একদল দুষ্কৃতী। আদালতের ভিতরেই তাণ্ডব চালায় গ্যাংস্টাররা। রোহিনী আদালতে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এলোপাথাড়ি গুলিতে জিতেন্দ্র গোগি নামে এক গ্য়াংস্টার সহ কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে পুলিশের গুলিতেও ২ আততায়ীর মৃত্যু হয়। কুখ্য়াত গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগিকে সে দিন আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলতেই খুব কাছ থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরাও গুলিবিদ্ধ হয়। ওই গ্যাংস্টার সহ কমপক্ষে তিন জনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। এরপরই আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।
উত্তর দিল্লির রোহিনী আদালতে কুখ্য়াত গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগিকে ঘটনার দিন আনা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলতেই খুব কাছ থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরাও গুলিবিদ্ধ হন। আদালতে প্রবেশের জন্য কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পার করে ঢুকতে হয়। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে কীভাবে আদালতের ভিতরে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ল গ্যাংস্টাররা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জিতেন্দ্র গোগির প্রতিপক্ষ গ্যাং-ই এই হামলার পিছনে ছিল বলে জানা যায়।