কলকাতা ব্যুরো: চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ মামলার হলফনামায় ত্রুটি। সংশোধন করে আধঘণ্টার মধ্যে ফের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতির। পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের আঞ্চলিক কেন্দ্রের সেক্রেটারিদের নাম উল্লেখ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বেলা ২টোর মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই হলফনামা ত্রুটিপূর্ণ বলে তা নস্যাৎ করে ফের আধঘণ্টার মধ্যে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি ৷
প্রসঙ্গত, গ্রুপ-ডিতে বেনিয়ম নিয়োগের যে অভিযোগ, তার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার জানায় যে, তারা এমন কোনও নিয়োগপত্র দেয়নি। ২০১৬ সালে রাজ্য সরকার প্রায় ১৬ হাজার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ করে ৷ যে পরীক্ষা নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ৪ মে, ২০১৯ ছিল নিয়োগপত্র প্রদানের শেষ তারিখ। কিন্তু মামলাকারীদের অভিযোগ, এরপরেও একাধিক ব্যক্তি চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নিযুক্ত হয়েছেন। এইরকম ২৫ জনের নিয়োগপত্রের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মামলাকারীরা হাতে পেয়েছেন বলে দাবি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি শোনার পর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং বুধবার সকালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিবকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশন এই ধরনের আদৌ নিয়োগ করেছে কিনা তা জানার জন্য। তার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার জানায় যে, তারা এমন কোনও নিয়োগপত্র দেয়নি ৷