কলকাতা ব্যুরো: একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির অবর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষিয়ান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এক ঝাঁক আইনজীবী। তাদের বক্তব্য, লকডাউনের পর আদালতের কাজকর্ম প্রায় স্বাভাবিক হলেও, মামলার তালিকা বা কজ লিস্ট অনলাইনে বেশি রাতে আপলোড হচ্ছে। তার ফলে আইনজীবীদের সব এজলাসের কোথায় কোন মামলা পরের দিন রয়েছে, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি আগের মত পরের দিনে ছাপানো তালিকা পাছেন না আইনজীবীরা। এই অবস্থায় আইনজীবীদের নির্দিষ্ট এজলাসে সময়ে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে।বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বদলি হয়েছেন সম্প্রতি। এরইমধ্যে মারা গিয়েছেন বিচারপতি আশীষ চক্রবর্ত্তী। আর কয়েক মাস আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান আরেক বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জি। সেই জায়গায় নতুন মাত্র একজন বিচারপতিকে বদলি করে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা রয়েছে। অথচ মাত্র ৩২ জন রয়েছেন বাস্তবে।তারই মধ্যে এমন কিছু এজলাসে এমন কিছু বিভাগের মামলা পাঠানো হচ্ছে, যার সঙ্গে ওই বিচারপতিরা খুব একটা প্র্যাকটিসের সময় যুক্ত ছিলেন না। এই অবস্থায় তাদের পক্ষে ওই সমস্ত মামলা অনেক সময় দিয়ে শুনতে হচ্ছে। ফলে মামলার পাহাড় জমে যাচ্ছে। অভিযোগ, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে। জামিন এবং আগাম জামিনের মামলা দীর্ঘ সময় শুনতে হয়। সেইসব এজলাসে প্রচুর মামলা জমে থাকছে। ফলে বিচারপ্রার্থীরা বিচার পাচ্ছেন না বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।একই সঙ্গে লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও কলকাতা হাইকোর্টের দুটি গেট এখনো পর্যন্ত বন্ধ থাকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে আইনজীবিদের। এফ এবং জি গেটের তালা ঝুলছে মাসের পর মাস। অথচ ওই গেট গুলি দিয়ে আইনজীবীদের নিয়মিত যাতায়াত করতেন। কোনো এক অজ্ঞাত কারণে গেট গুলি বন্ধ থাকায় বিরক্ত আইনজীবিদের একাংশ।এদিন বর্ষিয়ান আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ভাস্কর প্রসদ বৈশ্য সহ বেশকিছু আইনজীবী প্রথমে প্রধান বিচারপতির অফিসে যান। কিন্তু তিনি এদিন অনুপস্থিত থাকায় বিচারপতি বিন্দলের সঙ্গে তারা দেখা করে প্রাথমিকভাবে সমস্যার কথা জানান।আজ বার অ্যাসোসিয়েশন সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরী বৈঠক ডেকেছে। সেই বৈঠকের পর এ বার এর তরফ থেকে হাইকোর্টকে তাদের সমস্যা গুলি লিখিতভাবে জানানোর কথা।