কলকাতা ব্যুরো: করোনা একদিকে যেমন অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে মানুষের জীবন থেকে, আবার ফিরিয়ে দিয়েছে অনেক কিছুই। যার মধ্যে অন্যতম দূষণ কমেছে অনেকটাই। যার জেরে এখন বহু দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। শিলিগুড়ি শহর থেকেও এখন কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দেখছেন মানুষ। আর যে ডুয়ার্স মাঝে পর্যটকদের কাছে হয়ে গিয়েছিল মামুলি একটা পর্যটন কেন্দ্রের মত, সেখানেও আবার এখন অন্যরকম বাতাস।একদিকে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে, আর অন্যদিকে নির্মল আকাশ। ফলে একেবারে ঝাঁ-চকচকে পরিবেশ। দেখা যাচ্ছে দূরে পাহাড় একেবারে স্পষ্ট। ফলে পর্যটকদের খুশির সীমা নেই।দিনে যেমন এমন সুন্দর পরিবেশ প্রকৃতি। রাতটাও যেন এখন আবার বেগতিক ডুয়ার্সের বেশ কিছু এলাকায়। কারণ হাতির উৎপাত আবার বেড়েছে।
ডুয়ার্সের বেশ কিছু এলাকায় চা বাগানের আশপাশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গ্রামে হঠাৎ করে রাতের বেলায় হানা দিচ্ছে হাতি। কোথাও বাঁশবাগানে গা ঘষে, কোথায় একটু ঘরে বেড়ার গায়ে গা ঘষে চলে যাচ্ছে। তাতেই কুপোকাত অবস্থা বাসিন্দাদের। একদিকে জিনিসপত্রের ক্ষতি, অন্যদিকে হাতির হানায় প্রাণহানির আশঙ্কা। যদিও বড় দল নয়। একটি বা দুটি করে হাতি দেখা যাচ্ছে আলিপুরদুয়ারের কিছু গ্রামে। বনদপ্তর কে ও খবর দেওয়া আছে। ফলে তারাও চেষ্টা করছেন হাতিগুলোকে তাড়িয়ে তাদের নিজস্ব রূটে নিয়ে যেতে। কিন্তু একরকম চোর-পুলিশ খেলা চলছে দুপক্ষে। যেহেতু বড় হাতির পাল নয়, তাই বনদপ্তর এর কর্মীরাও খুব বেশি খোঁচা খুঁচি করে তাদের ক্ষেপিয়ে দিতে নারাজ।তাই দিনে প্রাকৃতিক শোভা দেখার সঙ্গে সঙ্গে রাতে হাতির হানার আশঙ্কা নিয়েই এখন ডুয়ার্সে চলছে মানুষের সহাবস্থান।