কলকাতা ব্যুরো: কলকাতা পুরনির্বাচনে একাধিক অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। ১৪৪ টি আসনেই পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। বামেরাও বেশ কয়েকটি আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো কোনও পুনর্নির্বাচন হবে না। কমিশনের দাবি, কোথাও ভোট বন্ধ হয়নি, তাই পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তাও নেই।

রবিবার পুর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। কমিশনে অভিযোগ জানান বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বুথে বুথে বিরোধী দলের এজেন্টদের বাধা দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠভাবে ভোট হয়নি বলেও দাবি করে বিরোধীরা। বিরোধীদের সেই দাবি নস্যাৎ করে কমিশন জানিয়েছে, কোথাও ভোটে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি, ভোট বন্ধও করা হয়নি। কমিশনের দাবি, আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার গণনা যেমন হওয়ার কথা ছিল, তেমনটাই হবে।

কমিশন রাজ্য সরকারের দ্বারা অনুপ্রাণিত বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, বিজেপি আগামিদিনে কর্মসূচী আলোচনার মাধ্যমে স্থির করবে। গণনায় এজেন্ট পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বিজেপি সাংসদের দাবি, অগণতান্ত্রিক পথে নির্বাচনে যে রীতি এ রাজ্যে তৈরি হয়েছে, তা ভাঙতে উদ্যোগ নেবে গেরুয়া শিবির।

বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ভোট যে হয়নি, সেটা সবাই বুঝতে পারছে। নির্বাচন কমিশনও বুঝতে পারছে, তবে তারা এখন বুঝেও বুঝছে না। তাঁর কথায়, পুনর্নির্বাচনের করা হবে না, কারণ ফল আগে থেকেই নির্ধারিত। ত্রিপুরার বিজেপির সঙ্গে এ রাজ্যে তৃণমূলের কোনও তফাৎ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, মানুষ সবই বুঝতে পারছে, শুধু বলতে পারছে না। একদিন না এক দিন বলবেই, অপেক্ষায় থাকতে হবে।

তবে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, কলকাতায় উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। যে ভাবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে, তাতে পুলিশের ভূমিকা ‘অভূতপূর্ব’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন পার্থবাবু। একই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version