কলকাতা ব্যুরো: মহারাষ্ট্রে “মহানাটক” অব্যাহত। সোমবার একনাথ শিণ্ডে-সহ বিদ্রোহী বিধায়করা সুপ্রিম নির্দেশে স্বস্তি পান। বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় জবাবদিহির জন্য ১২ জুলাই অবধি সময় বাড়ায় শীর্ষ আদালত। মনে করা হচ্ছিল এই সময়পর্বের সুযোগ নেবে শিণ্ডে শিবির। কতকটা তেমন ঘটনারই আভাস মিলল।
এদিন গুয়াহাটির হোটেলের বাইরে বেরোন বিদ্রোহী শিব সেনা নেতা। সাংবাদিকদের বলেন, আমরাই প্রকৃত শিব সেনা। আমরা সবাই মুম্বই যাব। মঙ্গলবারই মুম্বই যাচ্ছেন বলে জানান বিদ্রোহী শিব সেনা নেতা। আজই সেখানে সবকিছুর হেস্তনেস্ত হয়ে যেতে পারে। যদিও এর আগে জানা গিয়েছিল, মুম্বই নয় এদিন দিল্লি গিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন শিণ্ডে।
শিণ্ডের ও বিদ্রোহী শিব সেনা বিধায়করা এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। একটি সূত্র দাবি করেছিল, মঙ্গলবারই দিল্লিতে একনাথ শিণ্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ওই বৈঠকে থাকতে পারেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং দেবেন্দ্র ফড়নিশ প্রমুখ। এই বৈঠকের উপরেই বাণিজ্যনগরির রাজনীতি আগামী গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছিল।
যদিও এদিন হোটেলের বাইরে বেরিয়ে শিণ্ডের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য গোটা বিষয়টিকেই গুলিয়ে দেয়। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে স্বেচ্ছায় ৫০ জন বিধায়ক রয়েছেন। আমরা সবাই মুম্বই যাব। পরবর্তী পদক্ষেপের কথা দ্রুত জানান হবে। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। দিল্লির যাওয়ার কথা চাউর হলেও শিণ্ডে মুম্বই ফেরার কথা বলায় ধন্দ বেড়েছে। একটি সূত্রে খবর, বিদ্রোহী নেতা ইতিমধ্যে গুয়াহাটি ছেড়েছেন।
এদিকে উদ্ধব-পুত্র আদিত্য ঠাকরে দাবি করেছেন, গুয়াহাটিতে শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে থাকা ১৫ জন বিদ্রোহী বিধায়ক উদ্ধব বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। গুয়াহাটি থেকে তাঁদের মুম্বই ফেরানোক আর্জিও জানিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়করা। যদিও শিণ্ডের এদিনের মন্তব্যের পর আদিত্যর এই দাবি ধোপে টিকছে না।
তবে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। শিন্ডে-সহ বিদ্রোহী বিধায়কদের মুম্বই ফেরার জল্পনার মধ্যে উদ্ধব সেই বৈঠক পিছিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।