কলকাতা ব্যুরো: পেঁয়াজ ৭০, আর আলু ৩৫ টাকা কেজি নিয়ে যখন ক্ষোভ বাড়ছে, তার সঙ্গেই নীরবে পাল্লা দিয়ে চার মাসের মধ্যে মুরগির ডিম চার টাকা প্রতি পিস থেকে, সাত টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে বাজারে। আর ব্র্যান্ডেড ডিম প্রতি পিস এর দাম ১০ টাকা। এ রাজ্যে দু কোটি ৭০ লাখ থেকে দু কোটি ৮০ লাখ ডিম প্রতিদিন মানুষ খান। আর এখন সেই ডিমের বাজারে যোগান রয়েছে এক কোটি ৮০ লক্ষ মত। ফলে কেন দাম বাড়ছে তা সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে।আর পুজোর মরসুমে অন্যান্য সবজির মতোই ডিমের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।এপ্রিল-মে মাসে লকডাউনের মধ্যে ডিম আর মাংস একরকম অচ্ছুৎ হয়ে গিয়েছিল বাঙালির হেঁশেল থেকে। চার টাকা করেই ডিম বিক্রি হয়েছে। আর সেই ডিমই এখন সেপ্টেম্বর মাসে সাত টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। হ্যাচারি গুলির বক্তব্য, মূলত লকডাউনের মধ্যে মুরগি মরেছে। আর তখন কর্মী না পাওয়ায় হ্যাচারি গুলির দেখভাল করা যায়নি। ফলে এখন ডিমের যোগান পর্যাপ্ত দেওয়া যাচ্ছে না।এর মধ্যেই লক ডাউ নে হোটেল, রেস্তোরাঁ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন একটু একটু করে সেসব খুলতে শুরু করেছে। ফলে সব মিলিয়ে ডিমের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে। আর পর্যাপ্ত যোগান না থাকায় সাত টাকা দামের ডিম আগামীতে আর কত বাড়বে, তা নিয়েই এখন প্রমাদ গুনছে মধ্যবিত্ত বাঙালি।গত কয়েক বছর ধরেই পোল্ট্রির ব্যবসায় এ রাজ্যে প্রায় দু হাজার কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে। তার মধ্যেও দিনে চাহিদার প্রায় এক কোটি ডিম আসতো বাইরে থেকে। ধীরে ধীরে নিজেরা ডিমের উৎপাদন বাড়ানোই গত বছর খানেক ধরে বাইরে থেকে ডিম আমদানিও অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনে এ রাজ্যের যেমন উৎপাদন কমেছে, একই অবস্থা ভিন রাজ্য। ফলে বাইরে থেকেও ডিম পাওয়ার আশা অনেকটাই কমে গিয়েছে। যদিও এপ্রিল-মে মাসে লকডাউন এর মধ্যেও ভিন রাজ্য থেকে ট্রাকে করে ডিম এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আনলক এর পরে উৎপাদন সেসব জায়গাতেও কমে যাওয়ায়, এখন সরবরাহ বাইরে থেকেও কমে যাওয়াতেই দামের এই বাড়বাড়ন্ত।