কলকাতা ব্যুরো: কোটি টাকা খরচ করে কারখানা তৈরি করলেও, এখান থেকে চামড়ার জিনিসপত্র তৈরি আটকে গিয়েছিল বিশেষজ্ঞ কর্মীর অভাবে। লকডাউন উঠে গিয়ে দেশ আনলক হলেও, যোগাযোগ ব্যবস্থা সে জায়গায় পৌঁছয়নী। অথচ কর্ণাটকের হুবলির সেই কারখানা থেকে বিদেশে জিনিসপত্র পাঠানোর ব্যবস্থাও হয়ে গিয়েছে। অবশেষে মালিক কলকাতা ও তামিলনাড়ু থেকে পাঁচজনকে আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে গেলেন কারখানা চালু করতে। কারণ ওই কাজে দক্ষ কর্মীরা বাংলা থাকেন তিনজন। বিমানের খরচা দিয়ে তিনি তাদের একরকম নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
কারণ না হলে প্রোডাকশন চালু করা যাচ্ছে না। এখন আবার সরাসরি বিমান অনেক ক্ষেত্রেই নেই। আপাতত কলকাতা থেকে তিনজন বিমানে বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন গত সপ্তাহে। সেখান থেকেই তারা হুগলি যাবেন। মালিক চন্দ্র কান্ত গাদিকার, প্রায় এক কোটি টাকা খরচা করে কারখানা তৈরি করেছিলেন। হুবলিতে নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গিয়ে মেশিনপত্র বসানো হয়েছে। সেখানে চামড়ার জ্যাকেট থেকে শুরু করে এমন বিভিন্ন জিনিস এক্সপোর্ট কোয়ালিটির তৈরি করার কথা। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্মাণকাজ শেষ হলে তার পরেই থাবা বসায় করোনা। লকডাউন এর মুখে পড়ে ওই সংস্থা। এর মধ্যে আগে থেকে কথা হয়ে থাকলেও সময়ের মধ্যে এই কাজের দক্ষ কারিগররা পৌঁছাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মালিক। মালিক বলেছেন, এখানে ৩০ জন কর্মী কাজ করছেন। কিন্তু তাদের কেউই যে মেশিন বসানো হয়েছে তার চালাতে দক্ষ নন। দক্ষ পাঁচজনকে আগে থেকে কথা বলে রাখা হয়েছে। তাদের তিনজন থাকেন বাংলায় আর দুজন তামিলনাড়ুতে। তাদের ছাড়া কারখানা চালু করা যাচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই প্লেনে করে উড়িয়ে নিয়ে গেলেন, বাংলার দক্ষ কর্মীদের, কর্নাটকের ব্যবসা চালু করতে।
কর্নাটকে ব্যবসা চালু করতে কলকাতা থেকে মালিক উড়িয়ে নিয়ে গেলেন দক্ষ কর্মীদের
Previous Articleদেশে মাদকচক্রের পীঠস্থান মুম্বাই, পর্যবেক্ষণ এনসিবির
Next Article আবৃত্তির প্রদীপ – গৌরী জুটি ভাঙলো