কলকাতা ব্যুরো: দুর্গাপুজোর মণ্ডপে হাইকোর্টের নো এন্ট্রি’ বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সরাসরি রাজ্য সরকার সুপ্রিমকোর্টে যাবে কিনা তা রাত পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। সোমবার দুপুরে হাইকোর্ট এই রায় দেওয়ার পরেই বিকেলে হাইকোর্টে হাজির হন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন বৈঠক করেন। সন্ধ্যার মুখে তিনি হাইকোর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে কানাঘুষো চলতে থাকে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার সকালে আবেদন করতে পারে। হাইকোর্ট থেকে স্বরাষ্ট্র সচিব নবান্নে গিয়ে এবিষয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। যদিও এর ঘন্টা কয়েকের মধ্যেই তা নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়।

কেননা রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন দাখিল করলে, তাতে যদি আদালত নতুন করে কোন ছাড় না দেয়, সে ক্ষেত্রে বিরম্বনা বাড়তে পারে সরকারের। পাশাপাশি আদালতের এই রায়ের ফলে উৎসাহী নাগরিকদের পাশাপাশি সবচেয়ে সমস্যায় পড়ছেন পূজা গুলির উদ্যোক্তারা। তাই এবার তাদের মাধ্যমেই কিছু করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।কলকাতার ৩৪০ টির পুজোর সংগঠনকে নিয়ে গঠিত ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি এ ব্যাপারে নিজে রাই মামলায় ঢুকবে কি না তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। রাত পর্যন্ত ফোরামের কর্মকর্তারা বর্ষিয়ান আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এরইমধ্যে কলকাতার অন্যতম নামি বলে পরিচিত, নাকতলা উদয়ন সংঘ এর কর্মকর্তা, কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে।

নবরাত্রি উপলক্ষে সোমবার থেকেই সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ বেঞ্চ ছুটি হয়ে গিয়েছে। তবে এদিন থেকেই সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল বেঞ্চ চালু রেখেছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বা পুজো উদ্যোক্তাদের সংগঠন, যারাই শীর্ষ আদালতে আবেদন করুন, তাদের ওই বিশেষ বেঞ্চ এই আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে শুনানির জন্য সেখানে বেশি সময় লেগে গেলে মূল লক্ষ্যই ভেস্তে যেতে পারে বলে আলোচনায় উঠে আসে। কেননা মঙ্গলবার যদি কোনো সিদ্ধান্ত না হয়, সে ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করতে হবে।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য রাতের দিকে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, আমরা এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করব। যা বলার মঙ্গলবারই আদালতের কাছে বলবো।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version