কলকাতা ব্যুরো: দুর্গাপুজো, বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে বাঙালির আনন্দ উদ্দীপনা সীমাহীন। এবার সেই দুর্গাপুজোর হাত ধরেই বাংলার মুকুটে জুটলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি৷ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যমণ্ডিত দুর্গাপুজো এবার জায়গা পেলো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায়৷ নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে এই খবর জানিয়েছে ইউনেস্কো। আর এই খবর পাওয়া মাত্রই উচ্ছ্বসিত হয়ে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়া অ্যাট ইউনেস্কো-এর টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে ‘সিটি অফ জয় কলকাতার জন্য আনন্দের উদযাপন! দুর্গাপুজোকে ইউনেসকো’র মানবজীবনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে৷’ বাংলা ও বাঙালির অন্যতম পরিচয় বলা হয় শারদীয়া উৎসব বা দুর্গাপুজোকে৷ তিলোত্তমা কলকাতার রূপে যেন আলাদা মাত্রা যোগ হয় পুজোর এই কয়েকটা দিনে৷
শারদীয়া উৎসব বাঙালির অন্যতম পরিচয়। ধর্মের গণ্ডি ছাপিয়ে পুজো যেন উৎসবে পরিণত হয় ওই পাঁচদিন। ঝলমলিয়ে ওঠে তিলোত্তমা, গোটা বাংলা। পুজোকে কেন্দ্র করে আর্থিক লেনদেনও হয় চোখে পড়ার মতো। যা এবার বিশ্ব আসরে সমাদৃত। প্যারিসে আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত হবে ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির ১৬তম অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির তালিকায় যুক্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে কুম্ভ মেলা ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০১৪ সালে পঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী পিতল এবং তামার কারুকাজ সাংস্কৃতিক হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০১৩ সালে মণিপুরের সংকীর্তন অনুষ্ঠানের গানকে হেরিটেজের স্বীকৃতি দিয়েছি ইউনেস্কো৷ রাজ্যের তরফে ইউনেস্কোর কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল দুর্গাপুজোকে এই স্বীকৃতি দেওয়ার ৷ এবার সেই তালিকায় উঠে এলো বাংলার দুর্গাপুজো।
তবে এদিন বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি নেতৃত্বকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ বুধবার তিনি টুইটে লেখেন, অমিত শাহ ও অন্যান্য শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বের জন্য দু মিনিটের নীরবতা, যাঁরা নির্বাচনের আগে রাজ্যে এসে দাবি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজো উদযাপন হয় না ৷
এর ফলে বিজেপি’র ধাপ্পাবাজি আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল বলেও এদিন কটাক্ষ করেছেন অভিষেক ৷