কলকাতা ব্যুরো: মেট্রোরেলের কাজ করতে গিয়ে দমদম বিমানবন্দরের নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে গেল। সন্ধ্যে ছটা থেকে বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। জেনারেটর দিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়ার মধ্যেও সেই ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায় প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের জন্য। এর ফলে চরম অবস্থার সৃষ্টি হয় বিমানবন্দরে।
যাত্রী থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিমান সংস্থার কর্মীদের মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, বিমানবন্দরের মত অতি স্পর্শ কাতর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অত্যাধুনিক যন্ত্র পরিষেবার মাধ্যমে পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়ে হাতে হাতে পুরনো পদ্ধতিতেই চলতে থাকে যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে লাগেজ পরীক্ষা পর্যন্ত।

রাত বারোটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়নি। রাত আটটা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা জেনারেটর বন্ধ থাকায় তখন অবস্থা আরো বেগতিক হয়ে পড়ে। অতি স্পর্শকাতর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে এই সময় কোন ত্রুটি বা বেনিয়ম হয়েছে কিনা, তা জোর দিয়ে বলতে পারছে না কেউ। যদিও বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ, শুল্ক দফতর থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন বিমান চলাচল যেহেতু খুব কম, তার ওপর করোনা পরিস্থিতিতে বিমান গুলিতে যাত্রী যাতায়াত অনেকটাই অল্প, এই অবস্থায় যাত্রী ভিড় তেমন না থাকায় বড় রকমের সমস্যা এড়ানো গিয়েছে। আর মাঝে কিছু সময় জেনারেটর বসে যাওয়ায় সমস্যা হলেও রাত সোয়া নয়টা থেকে তা আবার চালু হয়ে যাওয়ায় বড় রকম যাত্রী পরিষেবা নিয়ে সমস্যা কিছু হয়নি।

যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ মানছেন, এমনভাবে কেবল কেটে বিদ্যুৎ পরিষেবা এতক্ষন বিমানবন্দরে বন্ধ থাকা একটা নজিরবিহীন ঘটনা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গড়িয়া থেকে দমদম বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো রেল সম্প্রসারণ এর কাজ চলছে। সেকারণে দমদম বিমানবন্দর এলাকায় খোড়াখুড়ির কাজ করতে গিয়ে কোনভাবে এয়ারপোর্টের মেন লাইন এবং এমার্জেন্সি লাইন দুটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাতেই এত বড় বিপত্তি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version