কলকাতা ব্যুরো: মুম্বাই থেকে তাকে গ্রেপ্তারের প্রায় ছয় মাস পরে জামিন পেলেন চিকিৎসক কাফিল খান। তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ধারায় মামলা দায়ের করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ধারা খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
উত্তরপ্রদেশের এই চিকিৎসককে জানুয়ারি মাসে স্পেশাল টাস্কফোর্স মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল বিরোধিতাই আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে গত বছর ডিসেম্বরে বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি দেশ বিরোধী বক্তব্য রেখেছেন বলে অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেপ্তার করে ইউ পি পুলিশ।ডাক্তার কাফিল উত্তরপ্রদেশ সরকারের বড় মাথাব্যথা হয়ে উঠেছিলেন ২০১৭ সাল থেকেই. সেখানকার গোরখপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেন তিনি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ খান সরাসরি সরকারকে অভিযুক্ত করেন অক্সিজেন না থাকা নিয়ে। সরকার বিল না মেটানোর ফলে অক্সিজেন পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কাফিল। এমনকি নিজের টাকায় তিনি অক্সিজেন কিনে এনে বেশ কিছু শিশুর তিনি জীবন বাঁচান বলেও খবর প্রকাশ হই।
সেই ঘটনায় কাফিল খানের পাশে দাঁড়ায় নাগরিক সমাজ। তারপরেই তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরে মিথ্যে মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে প্রবল জনমত গড়ে ওঠে ইউ পি সরকারের বিরুদ্ধে। আদালত তাকে জামিন দেয়।
এবার জানুয়ারিতে গ্রেপ্তারের পরে তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের মতো ঘটনা ছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইনজীবীরা বলছেন, জাতীয় নিরাপত্তা আইন এমন একটা আইন সেই ধারায় কাউকে বিনা বিচারে ১২ মাস পর্যন্ত জেলে আটকে রাখা যায়। বর্তমানে মথুরা জেলে বন্দী রয়েছেন ডাক্তার কাফিল খান।