এক নজরে

Covid 19: করোনা সংক্রমণ কমলেও কোভিড বিধিতে ঢিলেমি নয়

By admin

January 30, 2022

কলকাতা ব্যুরো: কিছুদিন আগেই হুড়মুড় করে বাড়ছিল কোভিড সংক্রমণ। যা গত দুই সপ্তাহে খানিক কমেছে। কমেছে পজিটিভিটি রেটও। তা সত্ত্বেও কোভিড বিধি নিয়ে কোনওরকম ঢিলেমি দেখালে চলবে না, এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের পাঁচ রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র। এদিন এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।

ওড়িশা, বিহার, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। বৈঠকে পাঁচ রাজ্যকে কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী। প্রতিদিনের পজিটিভিটি রেটের উপর কড়া নজর রাখতে বলেছেন। এইসঙ্গে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাড়াতে বলেছেন তিনি। বেশ কয়েকটি রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা কম হচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী।

শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, যদিও বেশ কিছু রাজ্যে গত দুই সপ্তাহে সংক্রমণ ও পজিটিভিটি রেট অনেকটাই কমেছে, তথাপি আমাদের কোভিড বিধিতে বিন্দুমাত্র ঢিলে দিলে চলবে না, সতর্ক থাকতে হবে প্রতিটি ক্ষেত্রে।

দিন প্রতি মৃতের সংখ্যা ও কতজন করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে, সেই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে তথ্য রাখতে বলা হয়েছে। রাজ্যের প্রতিনিধিদের সতর্ক করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, টিকা নেওয়া কতজন ও টিকা না নেওয়া কতজন করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে, এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে গুরুত্ব সহকারে তথ্য রাখতে হবে। মৃতের সংখ্যা, কতজন রোগীর অক্সিজেন লাগছে, ক’জনের ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন পড়ছে, সবটাই নজর রাখা দরকার।

এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ফের ভ্যাকসিনেশনের উপর জোর দেন। বলেন, যোগ্য ব্যক্তিদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে হবে প্রতিটি রাজ্যকে। বিশেষ করে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের সময় মতো দ্বিতীয় ডোজে জোর দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৮১ জন। যা আগের দিনের থেকে সামান্য হলেও কম। পটিজিভিটি রেট সামান্য বেড়ে হয়েছে ১৪.৫০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৮৮৯ জনের। এদিকে টিকাকরণে নতুন মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে ভারত। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশের মোট যোগ্য জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশই করোনার দুটি করে টিকা পেয়ে গিয়েছেন।