কলকাতা ব্যুরো: ক্রমশ স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে বিশিষ্ট পরিচালক তরুণ মজুমদারের। অতি সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি। এখনও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁর। চিকিৎসার জন্য ৫ সদসস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ৯২ বছর বয়সি এই পরিচালককে দেখতে বৃহস্পতিবার সকালে এসএসকেএমে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তরুণবাবুর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন চিকিৎসকদের কাছ থেকে।

এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে,  এখনো সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক।  আজ তার ২ ঘন্টা ধরে হিমোডায়ালাইসিস হয়েছে। আগামিকাল আবার ডায়ালিসিস হবে ৪ ঘন্টা ধরে। কিডনির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। দুটি কিডনিই কাজ না করায় ডায়ালিসিসের সিদ্ধান্ত নেন  চিকিৎসকেরা। পরিচালকের চিকিৎসায় বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে।

দলে রয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল, নেফ্রোলজিস্ট অর্পিতা চৌধুরী, সিসিইউ বিশেষজ্ঞ অসীম কুণ্ডু। গতকালের তুলনায় তার আচ্ছন্ন ভাব সামান্য কেটেছে। ডায়ালিসিস -এর পর তিনি চোখের পাতা খুলে দেখছেন। তবে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা এখনও রয়েছে। সামান্য অক্সিজেন দিতে হচ্ছে, খাওয়ার দেওয়া হচ্ছে রাইস টিউবের মাধ্যমে।

বাংলার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বরাবরই মমতা-বিরোধী মুখ হিসেবে দেখা গিয়েছে তরুণ মজুমদারকে। কিন্তু সব বিভাজন দূরে সরিয়ে বর্ষীয়ান পরিচালকের খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। কিছুটা সৌজন্যের কারণেই এই সাক্ষাৎ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক তিনি। একের পর এক হিট ছবি তাঁর ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘আলো’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি। ‘১৯৬২’-তে ‘কাচের স্বর্গ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান পরিচালক।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version