কলকাতা ব্যুরো: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য মিডিয়া ট্রায়ালের অভিযোগে মামলায় সংবাদমাধ্যমকে গাইডলাইন দেওয়ার কথা ভাবছে বোম্বে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত- র পর্যবেক্ষণ, আদালত মনে করে সংবাদমাধ্যমের সীমারেখা লংঘন করা উচিত নয়। আদালত তার এই বক্তব্যকে আরো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছে। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বক্তব্য, কোন ঘটনায় বাড়াবাড়ি রকমের রিপোর্টিং হলে, সে ক্ষেত্রে প্রকৃত অপরাধী কোথাও আড়ালে চলে যেতে পারেন। তিনি তদন্তের তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করতেও পারেন। আবার ফেরার হয়ে যেতে পারেন বলে মনে করে আদালত।
একই সঙ্গে আদালতে বক্তব্য, মিডিয়ার রিপোর্টিং এর ভিত্তিতে কোন ইনোসেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। প্রধান বিচারপতির স্পষ্ট বক্তব্য, মিডিয়ার সমান্তরাল তদন্ত প্রভাবিত হতে পারেন কোন তদন্তকারী অফিসার। তিনি হইতো একটি পথে তদন্ত কর ছিলেন। কিন্তু সে সময় মিডিয়া অন্য একটি সূত্র নিয়ে লাগাতার প্রচার শুরু করল। তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই তদন্তকারী অফিসার ধন্ধে পড়ে যেতে পারেন। হয়তো তিনি যে পথে তদন্ত চালাচ্ছিলেন, সেই পথ থেকে সরে গিয়ে মিডিয়ার তুলে ধরা পথেও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। শেষে দেখা গেল মিডিয়ার দেখানো পথ ভুল। আইনের পথে এইভাবে প্রচার ঠিক নয়। যদি মিডিয়ায় কিছু নতুন সূত্র থেকেই থাকে, তিনি পুলিশের কাছে সেই তথ্য জানাতে পারেন। কিন্তু কোনভাবেই বাড়াবাড়ি করে ফৌজদারি মামলায় তদন্ত ব্যাঘাত ঘটাতে পারেন না বলে মনে করছে বোম্বে হাইকোর্ট।এই পরিপ্রেক্ষিতেই কোর্ট এই তদন্তে গাইডলাইন দেওয়ার প্রসঙ্গটি তুলে আনে। আগামী ৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি করবে বোম্বে হাইকোর্ট।
এর আগে সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যুতে একদিকে মুম্বাই পুলিশ এবং মহারাষ্ট্র সরকারকে অভিযুক্ত করে একশ্রেণীর মিডিয়া লাগাতার নেতিবাচক অভিযোগ তুলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মহারাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত আটজন আইপিএস অফিসার। যেভাবে মুম্বাই পুলিশের অফিসারদের নাম করে করে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানোর মিডিয়া চেষ্টা করছে, তার প্রতিবাদে ওই অফিসাররা হাইকোর্টে মামলা করেন, এই তদন্তে মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধে।