কলকাতা ব্যুরো: কলকাতা পুর নির্বাচনের ফল যা হওয়ার ছিল, তাই হয়েছে। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি’র প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফল প্রকাশের পর তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া, ওরা(তৃণমূল) বিরোধী-শূন্য করতে চায়। কিছুদিন আগে উপনির্বাচন হয়েছে। তাতেও ওরা (তৃণমূল) ৮০-৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।রাজ্যে একদলীয় গণতন্ত্র চলছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এমন অনেকে ধরা পড়েছেন যারা ভোটার নন। ভোটার কার্ড নেই।
তিনি আরও বললেন, চারিদিকে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করে রাখা হয়েছে। আমাদের পাঁচবারের কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিতের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের এই বিপুল জয় কি কাঙ্খিত ছিল? দিলীপ ঘোষের জবাব, “নির্বাচনের পরিবেশ নেই তাই বিরোধী ভোটাররা ভোট দিতে বের হননি। ফলে যা হওয়ার হয়েছে।
পাশাপাশি কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে তীব্র কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার টুইট করেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ৷ সেখানেই তিনি সৌরভ দাসকে কটাক্ষ করেন ৷ তিনি লেখেন, ভিভিপ্যাট ছাড়া ইভিএম, সংযোগ ছাড়াই সিসিটিভি এবং ভয়ের বাতাবরণে ভোট করার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস ৷

অন্যদিকে, প্রবীন কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বললেন, আশার কথা, কংগ্রেস ও বামেদের ভোট পার্সেন্টেজ বেড়েছে। বাম-কংগ্রেস জোট হলে ভালো ফল হত? প্রবীন কংগ্রেস নেতার কথায়, আমরা একসঙ্গে লড়াই করিনি নিজেদের ক্ষমতা বোঝার জন্য। এই রেজাল্টের উপর অঙ্ক কষে ঠিক করতে হবে আগামী দিনের অবস্থান। বিজেপির উত্থান সাময়িক ছিল। কলকাতার বুকে কংগ্রেস প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে মারধরের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, “আমার ৫০ বছরের জীবনে কখনও দেখিনি একজন প্রার্থীকে নগ্ন করে মারা হচ্ছে।
তবে এদিন ফলপ্রকাশের পর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন বললেন, ওরা বলেছিল অবকি বার দুশো-পার। সেসব মেলেনি। এবারেও অনেক আস্ফালন করেছিল। সব ধুলোয় মিশে গেছে। বিজেপি’র প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার আরও কমেছে। তৃণমূলের কথা ছেড়েই দিন, সিপিএম এবং কংগ্রেস এর তুলনায় কম ভোট পেয়েছে বিজেপি।