কলকাতা ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় রাজ্য থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘন্টা কয়েক পরেই আসরে দিলীপ ঘোষ। একেবারে পুরনো মেজাজে, একেবারে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচারের জন্য।এদিন দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, যা ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পূর্বাভাস ছিল, তার থেকে অনেক কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকার ১০ হাজার বাড়ি ভাঙ্গার কথা বলেছে। যদিও কি করে এত তাড়াতাড়ি তার হিসেব পেল তা বোঝা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে ১৩২ টি বাঁধ ভাঙার কথা মুখ্যমন্ত্রী বলায়, তাকেও কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
একইসঙ্গে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, আসলে কেন্দ্র থেকে বাড়তি টাকার দরকার। তাই আগেভাগেই ক্ষয়ক্ষতির একটা হিসেব তৈরি করে রাখা রয়েছে। সেটাই বলে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যখন সরকারসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাথা ঘামাচ্ছে, তখন অবশ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে দেখা যায়নি টু শব্দটি করতে। এমনকি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকাতে তাদের যে কোনো ভূমিকা আছে, তেমন কোনো উচ্চবাচ্য করতেও শোনা যায়নি দিলীপ বাবুদের। যদিও তাদের সর্বভারতীয় সভাপতি অবশ্য একদিন আগে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তার দলের এ রাজ্যের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।তবে বাস্তবে গত দুদিন ধরে বিজেপির বিধায়করা কে কোথায় মানুষের সঙ্গে ছিলেন তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠতে পারে। যদিও দিলীপ ঘোষ যা নিয়ে দিয়েছেন, এই দুদিন তাদের বিধায়করা দুর্গত এলাকায় মানুষের সঙ্গেই ছিলেন। এবং এখনো আছেন। তাই তিনি যশ দূর যাওয়ার পর, সন্ধ্যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে ফাঁকা বাজারে সংবাদমাধ্যমকে ডেকেছেন, মন্তব্য এক তৃণমূল নেতার।