এক নজরে

Dilip Ghosh: সমস্ত রাজনৈতিক স্বার্থেই সিদ্ধান্ত

By admin

November 10, 2021

কলকাতা ব্যুরো: ‘সমস্ত রাজনৈতিক স্বার্থেই সিদ্ধান্ত।’ হাওড়া ও বালি পুরসভাকে পৃথক করার সিদ্ধান্তে বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবারই মন্ত্রীসভার বৈঠকে হাওড়া-বালি পুরসভাকে পৃথক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে রাজ্য সরকার। পুর আইন সংশোধনীর জন্য প্রস্তাব আনছে সরকার। ১৯ ডিসেম্বর ভোট হবে হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডে। হাওড়ার সঙ্গে ভোট হবে না বালি পুরসভায় ১৬টি ওয়ার্ডে।

বুধবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণের পর দিলীপ ঘোষকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, সমস্ত রাজনৈতিক স্বার্থেই সিদ্ধান্ত। বালিকে আনাই বা কী ছিল। বালিকে ছাড়াই বা কী ছিল! হয়ত আগের চিন্তা ভাবনা ঠিক ছিল না। চিন্তাভাবনা না করেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন রাজনৈতিক লাভের জন্য। এখন দেখছে উল্টো হয়েছে তাই পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। এই যে খামখেয়ালিপনা এটা যোগ্য প্রশাসকের পরিচয় নয়। এজন্য বাংলার অসুবিধা হচ্ছে।

পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, নির্বাচন এক সঙ্গে হোক বা আলাদাভাবে হোক, নির্বাচন আমরা লড়বই তার জন্য কলকাতা এবং হাওড়া কর্পোরেশন ইলেকশনের জন্য আলাদা টিম তৈরি করা হয়েছে। শেয়ারিং কমিটিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। মিটিং হয়ে গিয়েছে। আগে থেকেই চলছিল মাইক্রো লেভেলে এখন বড় করে হয়েছে। পুরো শক্তি নিয়ে বিজেপি নির্বাচনে লড়াই করবে।

এছাড়া ভোট কেমন হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন এর আগে কলকাতা কর্পোরেশনের ভোটের ইতিহাস সকলের মনে আছে। ভোট লুট হয়েছিল। সেজন্য ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন কতটা হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের অনেক বদনাম হয়েছে। গত বিধানসভা ইলেকশন তার পরবর্তীতে বাই ইলেকশন যেভাবে হয়েছে তাতে গণতন্ত্র ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গের কথা ভেবে বাঙালির মান সম্মানের কথা ভেবে ফ্রী ফেয়ার ইলেকশন হোক বলে দাবি দিলীপ ঘোষের।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে হাওড়া পুরসভা বামেদের থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। প্রায় তিন বছর প্রশাসক বসিয়ে পুরসভার কাজ চলেছে। ইতিমধ্যেই পুরভোট নিয়ে রাজ্যের পাঠানো প্রস্তাব রাজ্য নির্বাচন কমিশন মেনে নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আগামী ১৯ ডিসেম্বর শুধুমাত্র কলকাতা ও হাওড়ায় ভোট করাতে চেয়েছে রাজ্য। আর সেই প্রস্তাবই মেনে নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে, বিজেপি চায়, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সমস্ত পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে হোক।

মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। বিজেপি কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে, বাকিগুলি বাদ দিয়ে মাত্র দু’টোতে ভোট কেন হবে? একই সঙ্গে বিজেপি জানিয়েছে, আইনের পথে হাঁটবে তারা।