এক নজরে

এলএসিতে সেনা মোতায়েন দুই দেশের

By admin

June 30, 2021

মৈনাক শর্মা

ভারত-চিন সীমান্তে একচুলও কমেনি উত্তেজনা। এরই মাঝে প্রায় পঞ্চাশ হাজার বাড়তি সেনা ভারত-পাক সীমা থেকে সরিয়ে এলওসিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। ইতিহাসে প্রথম বারের মতো চিন সীমান্তে এত বড় সেনা মোতায়েন হয়েছে দিল্লীর তরফে। এরই পড়ে যুদ্ধের কৌতুহল শুরু হহয়েছে জন মহলে।

বেশ কিছুদিন ধরেই সীমান্তে গতি বিধি বেড়েছে চিনের। যুদ্ধের সময় জলদি সেনা পাঠাতে বুলেট ট্রেনের লাইনের কাজও শুরু করে বেজিং। ভারতের উপর চাপ ফেলতে ছয় মাসে একশর বেশি সেনা মহড়া করে চিন। তবে বর্তমানে এল এ সি তে কতো সেনা মোতায়েন রয়েছে চিনের তা পরিষ্কার না হলেও, আনুমানিক দুই লক্ষ সেনা মোতায়েন আছে বলে দাবি করেছে বেশ কিছু সংবামাধ্যম। ভারতের তরফে মিসাইল আক্রমণ রুখতে রাশিয়ার মতো এস ৪০০ অন্টি মিসাইল প্রযুক্তি এলএসিতে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি। তবে বিদেশী সংবামাধ্যম গুলীর দাবি অনুসারে, সীমায় বাড়তে থাকা চিনা সেনার ফলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।দুই শক্তিশালী দেশের বাড়তে থাকা সীমা উষ্ণতা কি যুদ্ধের লক্ষণ, উঠছে প্রশ্ন? ভারত চিন দুই দেশই পরমাণু অস্ত্র ধারক। তা ছাড়া কোয়ার্ড সদস্য ভারতের এলাকা দখল করা চিনের পক্ষে আত্মহত্যার সামিল হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এল এ সিতে চীনের সেনা বাড়ানোর আসল কারণ অন্য। এর পিছনে রয়েছে বেজিংয়ের তাইওয়ান দখলের উদ্দেশ হতে পারে। চিন সেনা অভিযান চালাতে পারে, এই নিয়ে বিশ্ব মঞ্চে দাবিও করেন তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রী জোসেফ উই।

তাইওয়ান স্বাধীন দেশ হলেও বহু যুগ ধরে চিনের মানচিত্রে নিজের এলাকা হিসেবে দাবি করে বেজিং। বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ানে সেনা অভিযান চালাতে প্রায় পাঁচ লাখ সেনা প্রয়োজন চীনের। করোনাতে খারাপ হওয়া নিজের বদনাম ঠিক করে তাইওয়ান দখলে এগোতে পারে বেজিং। এই অভিযানে ভারত ও আমেরিকাকে শান্ত রাখতেই এল এ সিতে সেনা মোতায়েন করছে চিন, এমন ধারণাও ঘুরছে।