কলকাতা ব্যুরো: জঙ্গী হয়ে যাওয়া ভাইকে পুলিশ এনকাউন্টার করে মেরেছিল কাশ্মীরে। তার বদলা নিতে দিল্লিতে বড় জঙ্গি হানার ছক শেষ পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত আটকে গেলো জঙ্গী দাদাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করায়। আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ইশফাক মজিদ কোকা নামে এক জঙ্গি। তার সঙ্গেই আরও তিনজনকে দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে একজন কোকার আত্মীয়। যিনি জম্মুর কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বি ই পড়ছিলেন।তাদের কাছ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের।গত মাসের ২৭ তারিখ ওই চারজন দিল্লির পাহারগঞ্জ এলাকায় এসে থাকতে শুরু করে। ধৃতরা সকলেই জঙ্গী সংগঠন আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের সদস্য বলে দাবি করেছে পুলিশ। এই সংগঠন জম্মু কাশ্মীরে আল-কায়েদার ছাতার তলায় থেকে নাশকতা চালায় বলে অভিযোগ পুলিশের।আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের বুরহান কোকাকে সপিয়ান এলাকায় গত ২৯ এপ্রিল গুলি করে মারে পুলিশ। এই ঘটনার আসরে নামে তার দাদা আশফাক মাজীদ। সে তার কিছু সঙ্গে সমর্থককে সঙ্গে করে দিল্লিতে নাশকতার ছক কষেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। নির্দিষ্ট করে পুলিশের কাছে খবর ছিল, শ্রীনগর থেকে চারজন জঙ্গির একটি দল দিল্লিতে এসে ঘাঁটি গেড়েছে। তাদের সঙ্গে যথেষ্ট আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। দিল্লির আইটিও এবং দরিয়াগঞ্জ এলাকায় তারা ইতিমধ্যেই হামলার ছক করেছে বলেও সূত্রে খবর পেয়েছিলো পুলিশ।সেই অনুযায়ী তাদের ধরতে ফাঁদ পাতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ। পুলিশের পাতা ফাঁদে অবশেষে এসে প্রায় ধরা পড়ে ওই জঙ্গীরা। তাদের গ্রেফতারে দিল্লিতে বড়োসড়ো নাশকতার ছক ঠেকানো গেল বলে দাবি নিরাপত্তা সংস্থার।এর আগে এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ এবং কেরল থেকে দশজন আল-কায়দার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছিল এনআইএ। যারা দিল্লি এবং পুনেতে নাশকতার ছক করেছে বলে দাবি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার। এখন এনআইএ দিল্লিতে ধৃতদের জেরা করে দেখতে চাইছে, মুর্শিদাবাদ ও কে রল থেকে ধৃত আল-কায়েদা জঙ্গীদের সঙ্গে, কাশ্মীরের ওই সংগঠনের কোন যোগাযোগ আছে কিনা। কেননা ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ ও কেরলের জঙ্গিদের কাশ্মীরে গিয়ে অস্ত্র সংগ্রহের কিছু তথ্য এন আই এর কাছে এসেছে।