মৈনাক শর্মা
সীমান্তে চলা দীর্ঘমেয়াদি বিবাদকে মেটানোর ইচ্ছা প্রকাশের মধ্যেই তৈরী হয়েছে দিল্লি ও ইসলামাবাদের ভালো সম্পর্ক। তবে ঠিক সেই সময়েই দিল্লির নেওয়া নতুন সিদ্ধান্তে আবারো দুই দেশের সম্পর্কে বাড়তে পরে তীক্ষ্ণতা। ইসলামাবাদের আপত্তি কে না মেনে চেনাভ নদীতে বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি।

চন্দ্র ও ভাগা নদীর মিশ্রণে তৈরি চেনাব বা চন্দ্রভাগা, যা হিমাচলের লাহুল ভ্যালি থেকে শুরু হয়ে পাকিস্থান সীমায় পৌঁছায়। এই নদীর উপরই পাকাল দুল বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। যা ভবিষ্যতে জলের সমস্যার কারণে বা ভারতের ছাড়া বাঁধের জলে বন্যার কারণে দিল্লির সিদ্ধান্তে আপত্তি করে ইসলামাবাদ। এর আগেও পকাল দুল ও কলানি প্রকল্প তৈরিতে ভারতের তরফে সিন্ধু জল চুক্তির উলঙ্ঘন বলে বিশ্ব ব্যাংকের কাছে অপত্তি করে পাকিস্থান।

জল যখন ভবিষ্যতে গোটা দেশের সমস্যা। তাই ১৯৬০ সালে দুই দেশের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তির সমঝোতা হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে সিন্ধু , ঝিলাম ও চন্দ্রভাগা নদীর ৮০ শতাংশ জল ব্যবহারের অধিকার লাভ করে পাকিস্থান আবার রবি, বিয়াস ও সূতলেজ নদীর ৮০ শতাংশ জল ভারতের ঠিক হয়। কিন্তু তার পড়েও সমাধান হয়নি জল সমস্যার। পর্যাপ্ত বাঁধ না থাকায় ভারতের অধিকারের বিপুল পরিমাণ জল পাকিস্তানে বয়ে যায়, ফলে লে এবং লাদাখ এলাকায় জলের সমস্যা হয় বিশ্ব ব্যাংকে দাবী ভারতের।

কাশ্মীরে ৩৭০ ধরা নিষ্ক্রিয় করার পরেই একের পর এক উন্নতির লক্ষে রয়েছে কেন্দ্র সরকার।২০১৯ সালের তথ্য অনুযায় ভারতের ব্যবহারে নির্ধারিত জল ভাগের ৩১ মিলিয়ন একোর ফিট ব্যাবহার করতে পেরেছে দিল্লি, বাকি ৭.৫ মিলিয়ন একর ফিট জল পাকিস্তানে গিয়ে অপচয় হয়। আর এই অপচয় কে রুখতেই ও কাশ্মীর ও লে এলাকায় জলের সমস্যা মিটিয়ে জন সমর্থন লাভে মরিয়া দিল্লি মত বিশ্লেষকদের।

জলই জীবন। আর পৃথিবীতে কমছে মিষ্টি জলের পরিমান। জলের জন্যই আগামী দিনে হতে পারে বিশ্ব যুদ্ধ। সে ক্ষেত্রে আপাতত সু সম্পর্ক থাকলেও অনামী দিনে নদীর জলকে কেন্দ্র করে আবারও তীক্ষ্ণতা দেখা দিতে পারে ভারত পাক সম্পর্কে

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version