কলকাতা ব্যুরো: বিয়ের দু’সপ্তাহের মাথায় বাগুইআটিতে এক তরুণীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে৷ তিতাস নন্দী নামে ওই তরুণীর বাপেরবাড়ির লোকেদের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনায় নাগেরবাজার থানার পুলিস গ্রেফতার করেছে তিতাসের স্বামী কৌস্তব সরকারকে৷
তবে কৌস্তবের বাবা এবং মাকেও গ্রেফতারের দাবি তুলেছে তিতাসের বাড়ির লোক৷
শুক্রবার গভীর রাতে বাগুইআটির আমবাগান এলাকার একটি বহুতলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ২৮ বছরের তিতাসের দেহ৷ ওই আবাসনের একতলায় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন তিনি৷ প্রতিবেশীদের দাবি, সবে সবে বিয়ে হলেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি লেগেই থাকত৷ শুক্রবার রাতে ফ্ল্যাটের নীচে তিতাসের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা৷ খবর দেওয়া হয় পুলিসকে৷ তারা তিতাসের দেহ উদ্ধার করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়৷
তবে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, আগেই মৃত্যু হয়েছে তরুণীর৷ এরপরই জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার৷ শনিবার তারা নাগেরবাজার থানায় বধূহত্যা, বধূ নির্যাতন এবং খুনের ধারায় অভিযোগ দায়ের করে৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস কৌস্তবকে গ্রেফতারকে করে৷
জানা গিয়েছে, মাত্র দু’সপ্তাহ আগে পেশায় ডাক্তার কৌস্তবের সঙ্গে বিয়ে হয় তিতাসের৷ গত ২ অগাস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের কিছু ছবিও পোস্ট করেন তিনি৷ তার তিনদিনের মাথায় মৃত্যু হয় তিতাসের৷ তাঁর পরিবারের দাবি, অশান্তির জেরে আবাসনের ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে৷ পুলিস অভিযোগ খতিয়ে দেখছে৷