কলকাতা ব্যুরো: রবিবার দুপুরে হিমাচল প্রদেশের পাহাড় ধসে ন জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই সন্ধ্যায় কেঁপে উঠলো সিকিম ও দার্জিলিং পাহাড়। ফলে এখানেও পাহাড় ধ্বস নামার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, ধস নয়, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গ্যাংটক ও দার্জিলিং। রাত পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।এদিন সন্ধ্যায় আচমকা দার্জিলিং, সিকিমের পার্বত্য অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়। গ্যাংটক থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে এর উৎপত্তিস্থল। সেখান থেকেই কেঁপে উঠেছে মাটি। প্রায় ৫ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়। পাহাড়ে যথেষ্ট কম্পন টের পাওয়া যায়। ফলে বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। বর্ষার সময় পাহাড়ি এলাকায় এমন ধস নামার ঘটনা ঘটে। যার সঙ্গে পরিচিত এখানকার মানুষ। এদিন দুপুরে হিমাচল প্রদেশের কিন্নরে ধস নেমে মৃত্যু হয় ন জন পর্যটকের। কিন্নর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সংলা থেকে ছিটকুল যাওয়ার সময় একটি পর্যটক বোঝাই টেম্পো ট্রাভেলার ওই ধসের মুখে পড়ে। বড় বড় পাথর পাহাড় থেকে খসে পড়তে থাকে। এমনভাবেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিশাল বিশাল পাথরের চাঁই ওই গাড়ির উপর পড়ায় ন জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরা রাজস্থান, দিল্লি ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দা।বর্ষার মরশুমে পাহাড়ি এলাকার মাটি আলগা হয়ে ধস নামা প্রায় নিত্যদিনের ব্যাপার। এর জন্য দুর্ঘটনাও ঘটে অনেক সময়ে। আর এবার ধসের পাশাপাশি ভূমিকম্প। ফলে আতঙ্ক বেড়েছে এলাকার মানুষের মধ্যে।
সিকিমে ভূমিকম্পের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে রাতেই প্রশাসনকে সতর্ক করেছে রাজ্য সরকার। রাতে আফটারশকের আশঙ্কা করে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। গ্যাংটকের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মাটি কেঁপে ওঠায় ভয় পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দার্জিলিং পার্বত্য এলাকাতেও একই পরিস্থিতি। সবমিলিয়ে আতঙ্কের রাত কাটাচ্ছেন পাহাড়ের মানুষ। দার্জিলিং জেলা প্রশাসন থানা গুলি কে সতর্ক করেছে।