কলকাতা ব্যুরো: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। প্রায় দেড় বছর পর ফের চালু হলো শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয় ট্রেন পরিষেবা। বুধবার ফের ওই পরিষেবার সূচনা করেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সুরেন্দ্র কুমার চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রথম ঢেউ রাজ্যে আছে পড়তেই সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বা ডিএইচআর-এর (DHR) সমস্ত রেল পরিষেবা। করোনার প্রকোপ রাজ্যে এমন ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে যে প্রায় দেড় বছর পর্যন্ত তার প্রভাবে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় রেল কর্তৃপক্ষ।
মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার গ্রাফ কিছুটা নিচের দিকে নামলে টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ কিন্তু ফের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই আবার ট্রয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেয় ডিএইচআর।
তবে চলতি মাসে করোনার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে পুজোর আগে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ফের একবার টয় ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসেই জয় রাইড পরিষেবা চালু করেছে ডিএইচআর। এবার দেশ-বিদেশের পর্যটকদের টানতে বহুপ্রতীক্ষিত শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয় ট্রেন পরিষেবা এদিন থেকে চালু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে সুসজ্জিত টয় ট্রেনের সূচনা করেন ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার চৌধুরী। প্রথম দিন সেভাবে যাত্রী বা পর্যটক না থাকলেও বেশকিছু পর্যটন ব্যবসায়ী এবং পর্যটন সংস্থার সদস্যরা টয় ট্রেনে সওয়ার হন। শুধু তাই নয় এখন থেকে টয় ট্রেনের যাত্রীর পাশাপাশি প্রয়োজনে পার্সেল পরিষেবা চালু করা হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে। জানা গিয়েছে, টয় ট্রেনে প্রয়োজনে পাঁচ টন পর্যন্ত সামগ্রী সমতল থেকে দার্জিলিং স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। যার ভাড়া পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।
ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার চৌধুরী বলেন, পর্যটকদের স্বার্থে ফের শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপাতত পর্যটকের সংখ্যা কম থাকলেও পুজোর আগে দিয়ে পর্যটকের ঢল নামবে বলে আমি আশাবাদী। আগামীতে টয় ট্রেন পরিষেবা আরও উন্নত করতে অত্যাধুনিক কামরা, ভিস্তাডোম কোচ এবং আধুনিক রেল ইঞ্জিন নামানো হবে।
ডিএইচআর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং দুটো কামরা দিয়ে পরিষেবা চালু করছে রেল কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে একটি ভিস্তাডোম এবং অন্যটি সাধারণ কামরা থাকবে। ভিস্তাডোম কোচে ১৭ জন যাত্রী এবং সাধারণ কামরায় আপাতত স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে ২৯ জন যাত্রীকে বসানো হবে।