কলকাতা ব্যুরো: আতঙ্ক বাড়িয়ে স্থলভাগে ঢুকে পড়লেও, ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। রবিবার ওড়িশার পুরীতে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় মৌসম বিভাগ (আইএমডি)। তার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হলেও ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে যে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা মিলবে বলে আশাবাদী তারা।

শনিবার সকাল সাড়ে 5টা নাগাদ অন্ধ্র্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। সেই সময় পুরী থেকে তার দূরত্ব ছিল ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। আইএমডি-র প্রকাশিত লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর দিকে যত এগোবে, আগামী ১২ ঘণ্টায় ততই দুর্বল হয়ে পড়বে জাওয়াদ। ৫ ডিসেম্বর দুপুরে ওড়িশার পুরীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ততক্ষণে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে। ওড়িশা উপকূল ধরে বাংলার দিকে যত এগোবে, আরও শক্তি হারাবে।

গত ৩০ নভেম্বর আন্দামান সাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়, সৌদি আরবের তরফে সেটির নাম রাখা হয় জাওয়াদ ৷ শুক্রবার দুপুরে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করে। তবে সময় যত এগিয়েছে, ততই শক্তিক্ষয় হয়েছে জাওয়াদের। তবে শক্তিক্ষয় হলেও, নিম্নচাপের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি চলছে অন্ধ্রে। ওড়িশা উপকূলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্ধ্রের শ্রীকাকুলাম, ভিজিয়ানগরম, বিশাখাপত্তনম এবং পুরীর গজপতি, গঞ্জম, পুরী, জগৎসিংপুর-সহ একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনি-রবিবার বাংলাতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম বিভাগ। রবি এবং সোমবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে অসম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরায়। ওই সময়ে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version