কলকাতা ব্যুরো: রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ওডিশার গোপালপুর এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাপত্তনমের মধ্যবর্তী অঞ্চল কলিঙ্গপত্তনমে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও উত্তাল হবে সমুদ্র, জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। বাংলায় সরিসরি এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব না পড়লেও রবি এবং সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে, জানা যাচ্ছে এমনটাই। রবিবার দিঘা উপকূলে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ২৮ এবং ২৯ তারিখ সেখানে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। এই অবস্থায় দিঘার সমস্ত হোটেল থেকে পর্যটকদের সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সোমবারের মধ্যেই দিঘা ছাড়তে হবে পর্যটকদের।

জানা গিয়েছে, ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর দিঘার হোটেলগুলিতে রাখা যাবে না পর্যটকদের। শুধু দিঘা নয়, তাজপুর, মন্দারমণি, নিউ দিঘা, শঙ্করপুরের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মাইকে প্রচার করে পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দিঘা সহ আশেপাশের এলাকার হোটেলগুলিতে যাতে কোনও বুকিং না নেওয়া হয় সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে কোনও মানুষের প্রাণহানি না ঘটে তা মাথায় রাখার জন্যই এই পদক্ষেপ।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে কলিঙ্গপত্তনমে আছড়ে পড়বে গুলাব। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈঠক করেছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় গুলাবের সরাসরি কোনও প্রভাব পড়বে না।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। উত্তাল হতে পারে দিঘার সমুদ্র। সুতাহাটা, নন্দীগ্রাম, মহিষাদল, হলদিয়ায় একাধিক অঞ্চলে সাধারণ মানুষকে প্রশাসনের তরফে সচেতন করা হচ্ছে। এদিকে গুলাব প্রভাবে ইতিমধ্যেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর পুরসভায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। পুরসভার তরফে ২৫টি স্কুল তৈরি রাখা হয়েছে। যে অঞ্চলের মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হবে এই অঞ্চলে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version