এক নজরে

#CycloneAsani: অন্ধ্র উপকূলের আরও কাছে অশনি, সমুদ্রেই ক্রমশ হারাচ্ছে শক্তি

By admin

May 11, 2022

কলকাতা ব্যুরো: অন্ধ্র উপকূলের আরও কাছে পৌঁছল ঘূর্ণিঝড় অশনি। সমুদ্রেই শক্তি খুইয়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের দুপুরের বুলেটিন অনুযায়ী, শক্তি খুইয়ে অভিমুখ বদল করেছে অশনি। এগোচ্ছে উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে। বুধবার সন্ধে নাগাদ পৌঁছবে অন্ধ্রের উত্তর উপকূলে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় অশনি অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ৪০ কিলোমিটার এবং নার্সাপুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে আশার খবর অশনির জেরে বাংলাতে তেমন প্রভাব পড়বে না। কিন্তু আগামী শুক্রবার পর্যন্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গে ঝড় এবং বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে।

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলে। বিশাখাপত্তনম ও পুরীর সমুদ্র উত্তাল। জলোচ্ছ্বাসও রয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বিপদ এড়াতে অন্ধ্রপ্রদেশে বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। বুধবার প্রায় ৩৭টি ট্রেন বাতিল করেছে সাউথ-সেন্ট্রাল রেলওয়ে। বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু বিমানও।

অন্ধ্র ও ওডিশা উপকূলের মৎস্যজীবীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দীঘা মন্দারমনি সমুদ্র তটেও বিনোদন মূলক কাজ এবং খেলাধুলা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের জন্য সমুদ্রতটে জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

এদিকে প্রত্যাশা মতোই বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে নামে অঝোরে বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন সকাল থেকে মহানগর, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা সহ একাধিক জেলায় সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল সকাল বৃষ্টিতে নাকাল হতে হয় অফিসযাত্রীদের।

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে হাওয়া অফিস বলেই দিয়েছিল দু-তিন ধরে মাঝে মাঝে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। আকাশ প্রধানত মেঘলা থাকবে। কোথাও ভারী কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সেই মতো এদিন সকাল থেকে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা ভিজল অশনির বৃষ্টিতে।

যদিও এই বৃষ্টিতে প্রবল ক্ষতির মুখে বাংলার কৃষকরা। মাঠে পড়ে রয়েছে পাকা ধান। বৃষ্টির জল জমলে সেই ধানের গোড়া পচে যাবে। অনেকে ধান কেটে নিলেও গোলায় তুলতে না পারায় মাঠেই পড়ে আছে ফসল। সেই ধানও নষ্টের আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।