কলকাতা ব্যুরো: শনিবার রাতে যে গাড়িটিতে এক যুবতীর শীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে, সেই গাড়িটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। যে ক্রসিংগুলি দিয়ে কালো রঙের ওই হন্ডা সিটি গাড়িটি গিয়েছিল, সেগুলির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নম্বরটি আসে পুলিশের হাতে। আজ ভোরে সেই গাড়িটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও ঠিক কোথা থেকে সেই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থেই এখনই তা প্রকাশ করতে নারাজ পুলিশ। এদিকে ওই নির্যাতিতার বয়ানও নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, একই অফিসে কাজের সুবাদে ওই নির্যাতিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলে অমিতাভ বসু নামে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। শনিবার রাতে নয়াবাদ থেকে ওই যুবতীকে গাড়িতে তুলে পাটুলীর একটি রেস্তোরাঁয় তারা ঘন্টা দেড়েক সময় কাটান। তারপর অজয়নগর, কালিকাপুর এলাকাগুলিতে তারা গাড়ি নিয়েই ঘুরে বেড়ান। ততক্ষণে রাত এগারোটা বেজে যাওয়ার ওই যুবতী তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন অমিতাভ নামে ওই ব্যক্তিকে। কিন্তু সে তখন গাড়ি ছোটায় চৌবাগার দিকে। তখনই তার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার চিৎকারে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন সামনেই একটি মারুতি গাড়িতে থাকা নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় ও তার স্বামী দীপ সতপথি। গাড়িটি নিয়ে পালানোর সময় নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যাযের পায়ের উপর দিয়ে গাড়িটি চালিয়ে দেয় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। আজ সোমবার বাইপাসের ধারে এক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হবে নীলাঞ্জনার।
Previous Articleসংক্রমণে এখন সামনে শুধু আমেরিকা
Next Article তপসিয়ায় খুনে তৃতীয় কারো হাত রয়েছে
Related Posts
Add A Comment