কলকাতা ব্যুরো: এবার প্রত্যন্ত জেলায় নয়, খাস কলকাতায় আমরা দাদার অনুগামী ব্যানার, পোস্টার পড়ল। শনিবার সকালে শ্যামবাজার চত্বরে ছয়লাপ হয়ে যায় শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৈরি বিতর্কিত ব্যানার-পোস্টার। যেখানে শুভেন্দুর ছবি দেওয়া, সেই চেনা ছবি যা গত কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছিল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। যদিও এদিন সকালে ওই পোস্টার-ব্যানার দেখা যাওয়ার পরই তা দ্রুত সরিয়ে নিতে থাকে পুলিশ।
শুভেন্দুর এই পোস্টটার ঘিরে গত মাস দুয়েক ধরে যে আলোচনা, কৌতুহল, জল্পনা শুরু হয়েছিল, তা জারি রয়েছে এখনো। শুভেন্দু সরাসরি দল ছাড়ার কথা এখনো বলেননি। অন্যদিকে তার এই কৌতুহল জারি রাখা অবস্থান নিয়ে রাজনীতিতে চায়ের পেয়ালায় তুফান উঠেছে।
এদিন সকালে এ নিয়ে আবার নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তার বক্তব্য, শুভেন্দুর সঙ্গেই অন্তত পাঁচ জন তৃণমূল সাংসদ বিজেপিতে নাম লেখাবেন। আর এদিন দুপুরে ফিরহাদ হাকিম সরাসরি অভিযোগ করেন, বিজেপি, তৃণমূল ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছে। তার বক্তব্য, দিলীপ ঘোষকে দিয়ে ভোট হবে না বুঝেই, আমাদের দল ভাঙ্গাতে চেষ্টা করছে বিজেপি। এরইমধ্যে আজ শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত রা মনগর এলাকায় সভা করছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয় বর্গী। শুভেন্দুর খাস তালুকে কৈলাসের এই সভা ঘিরে প্রবল কৌতুহল রয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
আবার গত দুদিন ধরে শুভেন্দুকে নাগাড়ে আক্রমণ করে চলেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনো নাম করে, কখনো নাম না করে, শুভেন্দুকে কটাক্ষ করলেন। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে তাকে আলু বেচতে হতো বলে কটাক্ষ করেছেন নাম না করে কল্যাণ। আবার শুভেন্দু সিপিএমের সাংসদ অনিল বসুর নাম উল্লেখ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিদের কুকথা মানুষ ভালোভাবে নেয় না। এই রাজনৈতিক জল্পনার মধ্যেই আজ কৈলাস বিজয়বর্গীয় সভার দিকে বাড়তি নজর সব পক্ষের।