কলকাতা ব্যুরো: উৎসবের মরসুমে বায়ু দূষণ ঠেকাতে যে ব্যবস্থা নিতে হবে তা নিক সরকার। স্পষ্ট ভাষায় মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হাইকোর্ট গুরুত্ব দিচ্ছে বাজি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে। এর আগে বাজি নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল হাইকোর্ট কঠোর ভাবে তা মানাতে হবে রাজ্যকে।
হাইকোর্টের নির্দেশ, আতশবাজির ব্যবহার হলে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে। বাজি নিয়ে নির্দেশের অন্যথা হলে সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের দায়িত্ব দিতে চেয়ে ছিল কোর্ট। কিন্তু রাজ্য ভরসা যোগায়, প্রশাসনের উপরে ভরসা রাখুক আদালত।
আদালতের বক্তব্য, সেই কারণে আমরা সরাসরি ওই সব অফিসারদের উপর দায় চাপাচ্ছে না। তবে নির্দেশ কড়া ভাবে মানতে হবে। কোনমতেই যাতে ছট পূজার বাজি না জালানো হয়, তা নিশ্চিত করতেই হবে। আদালতের বক্তব্য, অন্যান্য বারেও নির্দেশ না মানার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু এবার তেমনটা হলে তা আত্মহত্যার শামিল হবে। এদিন বাজি নিয়ে প্রথম দফার শুনানিতে হাইকোর্ট এ ব্যাপারে টাস্কফোর্স করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিল রাজ্যকে। সে ক্ষেত্রে নজরদারি আরো ভাল হবে বলে মনে করে হাইকোর্ট।
যদিও দিনের শেষে দাঁড়িয়ে আর কিছু বলেনি বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের বক্তব্য, বাজি পোড়ানো হলে তা জানানোর জন্য পৃথক ফোন নাম্বার দিক পুলিশ। সেই ফোন নম্বর যেন প্রকাশ্যে দেওয়া হয়। কেউ কোনো অভিযোগ জানালে তার পরিচয় গোপন রেখেই পুলিশকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে এন জি টির নির্দেশের পরে এরাজ্য দু’ঘণ্টা আতশবাজি জ্বালানোর ক্ষেত্রে ছাড় পেতে এদিন পৃথক মামলায হয় হাইকোর্টে।কিন্তু হাইকোর্ট প্রথমে খুব একটা তাতে আমল যায়নি যদিও শেষ পর্যন্ত মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় আদালত মনে করছে যেভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে তাতে এবার কোনভাবেই বাজির ধোয়া বর্জন করাই জরুরি।