কলকাতা ব্যুরো: ফের কাঁকড়া ধরতে গিয়ে প্রাণ গেল মৎস্যজীবীর। গভীর জঙ্গলে টেনে নিয়ে গেল বাঘ। রবিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে বসিরহাট রেঞ্জ অফিসের ঝিলার জঙ্গলে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফ থেকে, চলছে তল্লাশি। তল্লাশিতে অংশগ্রহণ করেছে স্থানীয় কুমিরমারী গ্রামের মানুষরা।
পেটের দায়ে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে তাই ছুটতে হয় কাঁকড়া ধরতে। আর এই কাজ করতে গিয়ে বাঘের হামলায় প্রাণ গিয়েছে বহু মৎস্যজীবীর। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল কুমিরমারী গ্রামের মৎস্যজীবী অরবিন্দ বিশ্বাসের নামও।
রবিবার ভোর থাকতেই নৌকা চেপে ঝিলার তিন নম্বর জঙ্গলে গিয়েছিলেন কুমিরমারী বাসিন্দা অরবিন্দ বিশ্বাস। সঙ্গী ছিলেন আরও দুজন। সেখানে নৌকা থেকে নামতেই অরবিন্দের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। টেনে নিয়ে যায় গভীর জঙ্গলে। কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে আসেন সঙ্গী দুজন। বাঘের মুখ থেকে দেহ ছিনিয়ে আনার সাহস হয়নি তাঁদের। তবে ফিরে এসেই নিকটবর্তী রেঞ্জ অফিসে খবর দেন তাঁরা। রেঞ্জ অফিসের আধিকারিকরা ছুটে যান ঘটনাস্থলে।
জানা গিয়েছে, অরবিন্দের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার। কাঁকড়া ধরতে যাওয়ায় অরবিন্দের কাছে কোনও সরকারি পরিচয়পত্র ছিল না।
ইতিপূর্বে এই অঞ্চলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের শিকার হয়েছেন একাধিক মৎস্যজীবী। অনেকে আবার প্রাণপণে লড়াই করে জীবন বাঁচিয়ে ফিরে এসেছেন।