কলকাতা ব্যুরো: দেশের এলিট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী থেকে বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিধানসভার প্রার্থী। বছর খানেক আগে তার মাথায় পুলিশের লাঠি সারাদেশকে দেখিয়েছিল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে 1 বাম ছাত্রীর আন্দোলনকে। সারাদেশ তাকে চিনে ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের মুখ হিসেবে। দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভানেত্রী, সেই ঐশী ঘোষ এবার জামুড়িয়ায় সিপিএমের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী।
দল নাম ঘোষণার পর শুক্রবার পথে নেমে পড়েছেন সিপি এম প্রার্থী। বোগরা দলীয় কার্যলয়ে কর্মীদের সাথে পরিচিত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। জামুড়িয়ার প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় থেকে শনিবার সকালে প্রচার শুরু করলেন বাম মনোনীত যৌথ মোর্চার প্রার্থী ঐশী ঘোষ।
কোনো উচ্চ মার্গের ভাষণ নয় একেবারেই মফস্বলের আর পাঁচটা রাজনীতি সচেতন মেয়ের মতোই ঐশী প্রচার শুরু করলেন জামুড়িয়ায়। নিজেকে পশ্চিম বর্ধমানের মেয়ে বলেই পরিচিতি দিয়ে তিনি দাবি করলেন, এলাকার উন্নয়ন, বেকারদের কর্মসংস্থান, রাষ্ট্রায়ত্ত কল-কারখানা কে বেসরকারীকরণ এর বিরোধিতা সহ, তৃণমূলের দুর্নীতি প্রসঙ্গ নিয়ে এদিন মিছিল করে এসব বিষয়কে মিছিলে স্লোগান হিসেবে তুলে ধরলেন প্রার্থী ঐশী সাথেই বাম কর্মী সমর্থকরা। এদিন তিনি বর্তমান বাম বিধায়ক জাহানারা খান,ও প্রাক্তন বিধায়ক ধীরাজলাল হাজরাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেন।
ঐশীর মতো এক ঝাঁক তরুণ তুর্কিকে ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার ১০ বছর পরে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। এই অবস্থায় তৃণমূল- বিজেপির লড়াইয়ের মধ্যে এমন তরুণ তুর্কিদের দুই-একজন যদি জিতে যায়, সে ক্ষেত্রে ওরাই হতে পারে আগামী দিনে রাজ্য বামফ্রন্টের অন্যতম অক্সিজেন। তাই কলকাতা থেকেও নেতারা এখন তাকিয়ে রয়েছেন ঐশীদের দিকেই।