কলকাতা ব্যুরো: অবাধে ভোট লুঠের অভিযোগ আসানসোল ও বিধাননগর পুরসভার ভোটগ্রহণে। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ বাম-কংগ্রেসের। তাদের দাবি, এই দুই পুরসভার বিভিন্ন বুথে অবাধে ভোট লুঠ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ভোট লুঠের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিস-প্রশাসন। নির্বাচন কমিশন শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না, দাবি কংগ্রেস।

শনিবার সকাল থেকে ভোট শুরু হয়েছে রাজ্যের চার পুরসভায়। তারমধ্যে আসানসোল ও বিধাননগর পুরসভায় বিভিন্ন জায়গায় ভোট লুঠ, ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। শৌচলায়ে বহিরাগতদের দেখা গিয়েছে। যদিও শাসকদলের প্রতিনিধিরা তা মানতে নারাজ। বিধাননগের প্রাক্তন মেয়র তথা তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত বলেন, কোথায় বহিরাগত? কোনও বহিরাগত নেই। শুধু সংবাদিক ও পুলিশ বহিরাগত। যদিও তারা নিজেদের কাজে এসেছে।

শনিবার কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে আসেন। কিন্তু পুলিসি বাধায় তাঁরা কমিশনে ঢুকতে পারেননি। বাধ্যহয়ে কমিশনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিসের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের বচসা হয়। অধীর চৌধুরী কমিশনারকে ফোন করেন। তারপরেই কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে কমিশনার সাক্ষাতের অনুমতি দেয়। সাক্ষাতের পর কংগ্রেস নেতা অসিত মিত্র, আজকের কায়দায় আগামিদিনে ১০৮ পুরসভায় ভোট লুঠ করা হবে। লড়াই আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। কংগ্রেস মাথা উঁচু করে লড়াই করবে। তাতে মৃত্যু হয় হবে।

অন্যদিকে, বামনেতা রবীন দেবের অভিযোগ, বিধাননগর ও চন্দননগরে ভোট লুঠ হয়েছে। অপেক্ষাকৃত শিলিগুড়ি ও চন্দননগর পুরসভার শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। সবথেকে বেশি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে বিধাননগর পুরসভা এলাকায়। কমিশনারকে অনুরোধ করেছি, যাতে বিরোধী দলের এজেন্ট-প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version