কলকাতা ব্যুরো: লোকসভা নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার এবং বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার যা ছিল, তার থেকেও বেশি ভোট এবার কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনে পেয়েছে বামফ্রন্ট। শতাংশের হিসেবে বামেরাই কলকাতার পুরভোট দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ১৩৪টি আসন (৭১.০৫% ভোট), বিজেপি পেয়েছে ২২,২৩ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ড (০৮.৯৪% ভোট), কংগ্রেস পেয়েছে ২টি ওয়ার্ড – ৪৫ ও ১৩৭ (০৪.৪৭% ভোট), বাম পেয়েছে ৯২ ও ১০৩ এই দুই আসন (১১% ভোট) এবং অনান্যরা পেয়েছে ৩টি আসন, যথাক্রমে ৪৩, ১৩৫ ও ১৪১। অতএব শতাংশের হিসাবে তৃণমূলের পরের স্থান বামেদেরই।
বিধানসভা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বামেদের ভোট শতাংশের নিরীখে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে পারায়, আমজনতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বর্ষীয়ান বাম নেতা বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, পুরসভার নির্বাচন একেবারে প্রহসন। গণতন্ত্রের লজ্জা। পুলিশ, নির্বাচন কমিশন, গুন্ডা বাহিনী, সরকারের এক্সটেন্ডেড টিম সবাই মিলেও শেষমেশ পেরে উঠলো না। তিনি বলেন এত চেষ্টা করেও সিপিএম দ্বিতীয় স্থানে।
পাশাপাশি তিনি দাবি করেন যদি মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পারত তাহলে তৃণমূলের কপালে দুঃখ ছিল। ফলে জবরদস্তি ভোট করেও শেষে ধরা পড়ে গেলেন।
সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁরা সবাই পরিকল্পনা করেই এই নির্বাচনে ভোট লুঠ করেছে। এত বাধার পরেও যে মানুষরা আমাদের ভোট দিয়েছেন, তাঁদের আমরা ধন্যবাদ জানাই। একইসঙ্গে ভোট গণনার দিনেও শাসক শিবির গণ্ডগোল করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাম প্রার্থী নমিতা রায় জিতেছে। সেটা জানা সত্ত্বেও এখন তার ওখান থেকে কাউন্টিং শিট আনতে দিচ্ছে না। এভাবে যদি গণনাতেও গণ্ডগোল করে… ভোটদানে বাধা দিয়েছে, পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি। যে কোনও অবস্থায়, সব আসনে তৃণমূলকে জিততে হবে এই যদি মনোভাব থাকে, সেই মনোভাবের প্রতিফলনই এই রেজাল্ট।
উল্লেখ্য, বামেদের এবারের কলকাতা পুর নির্বাচনে ভোট শতাংশের হিসেবে দ্বিতীয় স্থান থাকলেও, আসন সংখ্যা অনেকটা কমেছে। ২০১৫ সালের কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা ছিল ১৫। সেখান থেকে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে বামেদের আসন।