এক নজরে

রাজ্যে দ্বিতীয় ঢেউয়ের দুশ্চিন্তার মধ্যেও সুস্থতা টপকে গেল সংক্রমণকে

By admin

October 30, 2020

কলকাতা ব্যুরো: দৈনিক সুস্থতা রাজ্যে টপকে গেল দৈনিক সংক্রমণকে। সুস্থতার হার আরও বাড়ল। আপাত চোখে “ফিল গুড” পরিস্থিতি বৈকি। কিন্তু খুব নিশ্চিত বোধ করা যাচ্ছে না। কেননা, সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার কোন লক্ষ্মণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি অপরিবর্তিত। বদল বলতে সুস্থতার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী থাকা।এতে করোনা আক্রান্ত হলেও অধিকাংশই এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন। শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে সুস্থতার হার এখন ৮৮.১৬। তবে চিকিৎসকরা এখনও সতর্ক করে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁরা জানিয়েছেন, বাজিপটকায় নিয়ন্ত্রণ না রাখলে কালীপুজোর পর নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে পারে। কারণ, বাজিপটকায় যে দূষণ হবে, তাতে ফুসফুসের ক্ষতি হবে মানুষের।ফুসফুস দূর্বল হলে করোনা ভাইরাস সহজে হানা দিতে পারে। তাছাড়া করোনামুক্তদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত থাকে বলে, তাঁদের নতুন করে সমস্যা হতে পারে। সবমিলিয়ে শীত পার না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তিতে থাকার জো নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার রেকর্ড গড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। একদিনে সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৪,০১৫ জন। এই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৯৭৯, আগের ২৪ ঘণ্টা থেকে মাত্র ১০ কম। মৃত্যুর পরিসংখ্যানে কিন্তু তেমন লাগাম এখনও নেই।গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার বলি ৫৯ জন। এঁদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা মিলে। কলকাতায় এই সময়ে প্রাণ গেল ১৮ জনের, উত্তর ২৪ পরগনাতেও ১৮ জন। হাওড়ায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের, হুগলিতে ৪, নদিয়ায় ৪, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ ও পূর্ব মেদিনীপুরে ১ জন। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে রাশ না পড়ার জন্য চিকিৎসকরা আরও বেশি সংখ্যায় করোনা টেস্ট করার ওপরে জোর দিচ্ছেন। টেস্ট না বাড়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।কিন্তু টেস্ট এদিনও বাড়ানো হয়নি। শুক্রবার রাজ্যে ৪৩,৭৭৪ জনের টেস্ট হয়েছে। রাজ্যে এখন আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৩,৬৯,৬৭১, মোট করোনামুক্ত ৩,২৫,৮৮৮। অ্যাক্টিভ পজিটিভ এখন ৩৬,৯৯৯। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮০ জন, সংক্রমণ মুক্ত ৯০৫ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এই দুই পরিসংখ্যান যথাক্রমে ৮৬৬ ও ৯১৩, হাওড়ায় ২৪৮ ও ২০৫, হুগলিতে ২৩১ ও ২৩৭, নদিয়ায় ১৮৫ ও ১৪৬ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৮৫ ও ১৪৬ জন।