কলকাতা ব্যুরো: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তিন দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফর শেষ করে দিল্লি ফিরে গেলেন। এই তিনদিনে অধিকাংশ সময় তাঁর মুখে মাস্ক দেখা গেল না। বিমানবন্দরে হোক, বাঁকুড়ায় হোক বা কলকাতায়, তাঁকে ঘিরে জনতার মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি।সরকার যখন করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি পালনে কঠোর হতে বলছে, তখন মন্ত্রী ও তাঁদের অনুগামীদের আচরণেই বোঝা যায়, কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না করোনা ভাইরাসের দাপট। মিছিল, মিটিং ইত্যাদিতে পিছিয়ে নেই কোন রাজনৈতিক দলই। শুধু পুজোয় কড়াকড়ি আর বাজি নিষিদ্ধ করে সংক্রমণ কিছুটা কমিয়ে রাখা যাবে হয়তো, কিন্তু এইসব কারণে নির্মূল করা যাবে না। হচ্ছেও না।আবার রহস্যজনক ভাবে দু সপ্তাহ ধরে দৈনিক সংক্রমণ রাজ্যে আবার স্থিতিশীলতা ধরে রেখেছে। সংক্রমণ ৪ হাজার ছুঁইছুঁই, আর করোনামুক্তি ৪ হাজারের সামান্য বেশি। এই স্থিতাবস্থা সত্যিই রহস্যজনক। চারপাশে পরিচিতরা সংক্রামিত হচ্ছেন দেখা যাচ্ছে। অথচ সরকারি পরিসংখ্যান একজায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। এর কোন ব্যাখ্যা নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৩৯৪২ জন, করোনামুক্ত ৪,২৮৩ জন, মৃত্যু ৫৫ জনের। সুস্থতার হার ৮৯.২৫, আগের দিনের চেয়ে সামান্য কম। অ্যাক্টিভ পজিটিভ রাজ্যে এখন ৩৫,৫৫৭। এই সংখ্যাও আগের দিনের চেয়ে খানিকটা। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতি তো অপরিবর্তিতই। সেইসঙ্গে নদিয়ায় সংক্রমণের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক।কিছুটা সেরকমই দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনার বলি ১৩ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ১১ জন। এছাড়া নদিয়ায় ৫, হুগলিতে ৪, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪, হাওড়ায় ৩, পূর্ব মেদিনীপুরে ২, বীরভূমে ২, মুর্শিদাবাদে ১, পুরুলিয়ায় ১, বাঁকুড়ায় ১ ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন।রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা শুক্রবার পর্যন্ত ৩,৯৭,৪৬৬। প্রবণতা একই থাকলে শনিবার এই সংখ্যা ৪ লক্ষ পার হয়ে যাবে। রাজ্যে এদিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট করোনামুক্ত ৩,৫৪,৭৩২ জন। মৃতের মোট সংখ্যা ৭,১৭৭। শুক্রবার ৪৫,৩৫২ জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। এর ফলে রাজ্যে ৪৮,২৪,৩২৭ জনের টেস্ট হয়ে গেল।গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪৬, সুস্থ ৭১২, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮১৬ ও ৭০২, নদিয়ায় ১৮৯ ও ২৩৫, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৮৭ ও ৩৫৫, হুগলিতে ২৪৮ ও ১৬৬, হাওড়ায় ২৩৯ ও ২৫৯, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৩৪ ও ১৮১ এবং বীরভূমে ৬৩ ও ২৫।