কলকাতা ব্যুরো: আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ১৮ মার্চ দোল। তার আগের দিন সন্ধেবেলা ন্যাড়াপোড়া উপলক্ষে নাইট কার্ফু শিথিল করার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ছাড় দেওয়া হয়েছে। “হোলিকা দহন” অর্থাৎ ন্যাড়া পোড়া উপলক্ষে ১৭ মার্চ রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু প্রত্যাহার করা হলো। ওই দিন রাতে হোলিকা পুড়িয়ে উদযাপন করেন বহু মানুষ। সেই আনন্দে যাতে সকলে সামিল হতে পারেন, সেজন্য এই উদ্যোগ নিল নবান্ন।  

উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হোলিকা দহন উপলক্ষে নাইট কার্ফু শিথিল করার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। ৪ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠি দেন সুদীপ। চিঠির জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপনি হোলিকা দহন উপলক্ষে নাইট কার্ফু শিথিল করার আবেদন জানিয়েছিলেন। আপনার এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেদিন নাইট কার্ফু শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবাই যাতে ভালোভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারেন, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে কোভিড বিধিনিষেধ বাড়িয়ে ১৫ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। রাতে বলবৎ রয়েছে নৈশ কার্ফুও। তবে “হোলিকা দহন” উপলক্ষে ছাড় দিল রাজ্য সরকার। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে চলমান বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছিল ১৫ মার্চ পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় কোভিড বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হয়ে গিয়েছে। খালি বলবৎ রয়েছে নৈশ কার্ফু।  এদিকে রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা নেমে গিয়েছে ১০০-র নীচে। বৃহস্পতিবার সংক্রামিত হয়েছেন ৯৮ জন। ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১১২ জন।নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২১, ৫১৯।  সংক্রমিত হার ০.৪৬ শতাংশ। ফলে কোভিড নেই বললেই চলে।  কেন্দ্রীয় সরকারও ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যগুলি চাইলে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে সব কিছু স্বাভাবিক করে দিতে পারে। সেই দিকেই এগোচ্ছে বাংলার সরকার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version