কলকাতা ব্যুরো: কোভিডের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চলতি মাসের গোড়াতে খুলেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। খুশি হয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। তবে জারি ছিল কড়া কোভিড প্রটোকল। মন্দিরে প্রবেশে বাধ্যতামূলক ছিল নেগেটিভ আরটি-পিসিআর (RT-PCR) রিপোর্ট অথবা সম্পূর্ণ টিকাকরণের শংসাপত্র। এবার এই বিধিও শিথিল করল মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রায় দু’বছর পর আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য কার্যত অবাধ হচ্ছে মন্দিরে প্রবেশ।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারিতে জগন্নাথ মন্দির দর্শনে পুরীতে আসছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার আগে বৈঠকে বসেন পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, এবার থেকে পুণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশে সম্পূর্ণ টিকাকরণের শংসাপত্র বা নেগেটিভ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট, কোনও কিছুই লাগবে না। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই নিয়ম। মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ কমেছে বলেই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে কৃশান কুমার বলেন, এখন প্রতিদিনই কোভিড সংক্রমণ কমছে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও বিপদ এড়াতে ভ্যাকসিন নিয়েই মন্দিরে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন কৃশান কুমার। তিনি আরও জানান, মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজারের ব্যবহারের আগের মতোই বাধ্যতামূলক থাকছে মন্দিরে চত্বরে।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে দেশের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানের মতোই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরও। আনলক পর্বে দেশের অন্যান্য মন্দির খুললেও পুরীর জগন্নাথ মন্দির বন্ধ ছিল। করোনা কালে পুরীর রথযাত্রায় জমায়েত একেবারে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র প্রথাটুকুই পালন করা হয়।
দীর্ঘ ৯ মাস পর ডিসেম্বরে কোভিডবিধি মেনে ভক্তদের জন্য পুরীর মন্দিরের দরজা খোলে। তারপরও করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ফের সাবধানতা অবলম্বন করতে জানুয়ারি মাস থেকে ১০ তারিখ থেকে মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কোভিড প্রোটোকল মেনে খোলা হয়েছে মন্দির। মন্দির কর্তৃপক্ষের নয়া সিদ্ধান্তে প্রায় দু’বছর পর আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে অবাধ হচ্ছে মন্দিরে প্রবেশ।