কলকাতা ব্যুরো: কেরলের পুনরাবৃত্তি যাতে বাংলায় না হয়, সেই বিষয় মাথায় রেখে অত্যন্ত সতর্ক প্রশাসন। কেরলে ওনামের পর হু হু করে বেড়ে গিয়েছিল দৈনিক সংক্রমণ। সেই একই ঘটনা যাতে দুর্গাপুজো ঘিরে না হয়, তার জন্য আগেভাগেই লাগাম টানার ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। এরই মাধ্যে বুধবার থেকে শুর হলো দেবীপক্ষের। আর প্রথম দিনেই বিভিন্ন ঘাটে ফুটে উঠল অসেচতনতার চিত্র। কোনও রকম কোভিড বিধি বা দূরত্ব বিধি না মেনেই স্বাভাবিক ছন্দে চলছে তর্পণ।
একে তো মাস্কের বালাই নেই। তারওপর গা ঘেষাঘেষি করে তর্পণ করছেন অসেচতন মানুষরা। এই চিত্র দেখা গেলো বাবুঘাট, জাজেস ঘাট থেকে বাগবাজার ঘাট-সর্বত্র। তবে শুধু কলকাতা বললে ভুল হবে। সারা রাজ্যের ছবিটা ঠিক এমনই। করোনা আবহে পুরসভা তরফে গত বছরই বলা হয়েছিল অন্তত ছয় ফুট দূরত্ব মেনে যাতে তর্পণ করা হয়। মহালয়ার ভোরে ঘাটগুলিতে আম জনতার অসচেতনতার চিত্র দেখা গেল।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশিকা মেনে পুজো কার্নিভাল বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে করোনাকালে পুজো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে ১১ দফা নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, মণ্ডপে প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ খোলামেলা রাখতে হবে। মণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। পুজো কমিটিগুলিকেও মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। মণ্ডপে ঠিক মতো সামাজিক দুরত্ব ও করোনাবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা নজর রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করতে হবে পুজো কমিটিকে।
এদিকে পুজো কার্নিভাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। করোনা অতিমারী কারণে গত বছর ওই অনুষ্ঠান বাতিল করে রাজ্য। রাজ্যের তরফে জানা গিয়েছে, এখনও করোনা সংক্রমণ দূর হয়নি। পাশাপাশি, কলকাতা হাইকোর্ট থেকেও বলা হয়েছে মহামারি পরিস্থিতিতে ভিড় যাতে না হয় তা রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে। তাই ওই সমস্ত দিক বিবেচনা করে কার্নিভাল বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।