কলকাতা ব্যুরো: ভাটা পড়ার লক্ষ্মণ নেই। দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল। বাড়ল দৈনিক মৃত্যু। কমে গেল সুস্থতার পরিসংখ্যান। চুম্বকে এই হল বৃহস্পতিবার দেশের করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৫,৫০৮ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে দেশে। এই সময়ে সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৮৭,৩৭৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ১,১২৯ জনের। মৃত্যুহার এদিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১.৫৯। সুস্থতার হার ৮১.৫৫।
করোনায় এই প্রথম একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বুধবার। তিনি রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গাদি। আনলকের পরিসর আরও বাড়ছে। ১০টি রাজ্যে স্কুল খুলে গিয়েছে। নতুন করে আরও কিছু ট্রেন চালু হতে চলেছে। লোকাল ট্রেনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও এরাজ্যে দার্জিলিং মেল, সরাইঘাট এক্সপ্রেসের মতো কিছু ট্রেন চালু হবে বলে প্রস্তুতি চলছে। মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে। রাস্তাঘাটে স্বাস্থ্যবিধি আর তেমন ভাবে দেখা যাচ্ছে না। শারীরিক দূরত্ব অনেক ক্ষেত্রেই থাকছে না।
অনেকে মাস্ক না পরে বা থুতনির নীচে ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশেষ করে এরাজ্যে সংক্রমণের স্থিতাবস্থায় অনেকে মনে করছেন বিপদ কেটে গিয়েছে। অথচ, দেখা যাচ্ছে, নতুন নতুন চেহারায় করোনা ভাইরাসের বিপদ হাজির হচ্ছে। কোন উপসর্গ ছাড়া হঠাৎ অক্সিজেন লেভেল দ্রুত নেমে যাচ্ছে অনেকের। চিকিৎসায় সামান্য দেরি হলে এঁদের বাঁচানো যাচ্ছে না। কোন কোন ক্ষেত্রে সংক্রমণ মুক্তদের নতুন করে সমস্যা হচ্ছে।
দ্বিতীয়, তৃতীয় বার হাসপাতালে আসার অনেক ঘটনাই নথিভুক্ত হচ্ছে। এই ধরনের সমস্যাতেও অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। ইউরোপে পরিস্থিতি এমন যে, কোন কোন দেশ নতুন করে লকডাউনের পথে হাঁটছে। ফলে চিন্তামুক্ত হওয়ার এখনই কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না। যে যাই প্রচার করুক, খুব তাড়াতাড়ি হলেও আগামী বছরের আগে ভ্যাকসিন সাধারণের ব্যবহারের জন্য আসার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে সাবধানতা, সতর্কতা একমাত্র পথ হলেও খামতি সেখানেই। তবে সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, মহিলাদের সতর্কতা পুরুষদের দ্বিগুণ। ফলে মহিলাদের সংক্রমণের হার কম।