কলকাতা ব্যুরো: হাইকোর্টের নির্দেশে পুজো কমিটিগুলি ও পুলিশ সতর্ক থাকলে মণ্ডপ ফাঁকা থাকবে ঠিকই, কিন্তু দূর থেকে হলেও প্রতিমা দর্শনে লোকে ভিড় করবে না, এমন নিশ্চয়তা কিন্তু নেই। তাছাড়া কেউ কেউ পুজোর সময় “আউটিং” কে পছন্দ করেন। রেস্তোরাঁয় খাওয়া, দেদার ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদির জন্য ভিড় ঠেকানোর কোন নির্দেশ কিন্তু আদালত দেয়নি। ফলে মণ্ডপ ঘিরে ব্যারিকেড গড়লেই করোনা সংক্রমণ ত্রিসীমানায় ঘেঁষবে না, এমন কিন্তু নয়।
তাছাড়া পুজোর সময় ভালো-মন্দ খাওয়ার কেনাকাটা স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। এর প্রত্যেকটিই চিকিৎসকদের ভাষায় “সুপার স্প্রেডিং” ইভেন্ট। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তিদায়ক মানলেও পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা দেখে বঙ্গবাসীর নিশ্চয়ই হৃৎকম্প হচ্ছে। ৪ হাজার পার না হলেও দৈনিক করোনা সংক্রমণ গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার একরকম ছুঁয়েই ফেলেছে বলা যায়।
২৪ ঘণ্টায় ৩,৯৯২ জন করোনা পজিটিভের পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে তৃতীয়ার সন্ধ্যাতেই। কথায় আছে, সবে তো কলির সন্ধ্যা। মোট সংক্রমণও এদিন রাজ্যে সোয়া তিন লক্ষ পার হয়ে গেল (৩, ২৫,০২৮)। মোট মৃত্যু রবিবারেই ৬ হাজার পার করেছিল। রবিবার থেকেই দৈনিক মৃত্যুতে দেশে মহারাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৬,১১৯। অধিকাংশ মৃত্যু কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে।
কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ১৮, উত্তর ২৪ পরগনায় ১০, হাওড়ায় ১১, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪ ও হুগলিতে ৪। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরে ৪, পূর্ব বর্ধমানে ২, নদিয়ায় ২, মুর্শিদাবাদে ১ ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থতার হার কিছুটা কমেছে বটে, কিন্তু সংখ্যায় কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে করোনামুক্তি। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৯ জন, সংক্রমণমুক্ত ৮১০ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এই দুই পরিসংখ্যান যথাক্রমে ৮৫৮ ও ৮৪৫, হাওড়ায় ২২৯ ও ২১৮, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৩৪ ও ২০৪ ও হুগলিতে ১৫৪ ও ১৫৬।
অন্য জেলাগুলির মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭৯ ও ৩১, পূর্ব বর্ধমানে ১১০ ও ৯৬ এবং নদিয়ায় ১৭৭ ও ১৪৮। একদিনে রাজ্যে মোট করোনামুক্ত ৩,২৭২। ফলে রাজ্যে মোট করোনামুক্ত ২,৮৪,৩২৫। সোমবার করোনা টেস্ট হয়েছে ৪৩,৬১৯ জনের। রাজ্যে আজ মোট করোনা টেস্ট ৪০ লক্ষ পার হল (৪০, ৩৪,৮৮৯)।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version