কলকাতা ব্যুরো: অন্যান্য দিনের তুলনায় রাজ্যে করোনা টেস্ট বেশি হয়েছে। কিন্তু তার প্রতিফলন সংক্রমণের পরিসংখ্যানে কিন্তু পড়েনি। দৈনিক সংক্রমণ সেই গত ৫ মাসের মধ্যেই রেঞ্জে রয়েছে। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার সংক্রমণও সেই আগের দিনের মতো বাড়তির দিকে আছে।গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩,১৯৬, বুধবারের চেয়ে ৭ বেশি। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৩,০১৪ জন, বুধবারের চেয়ে ১৬ বেশি। তার মানে সেই স্থিতাবস্থাই চলছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে। স্থিতিশীলতা থাকলেও দৈনিক মৃত্যুতে বাড়তির প্রবণতা স্পষ্ট।গত ৫ সপ্তাহ ধরে যে দৈনিক মৃত্যু ৫০ থেকে ৬০-এর মধ্যে ছিল, সেটা কদিন ধরে ৬০-এর ওপরে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও মৃতের সংখ্যা ৬২। মৃত্যুর আধিক্য কিন্তু ঘোরাফেরা করছে নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলার মধ্যে। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান হঠাৎ লাফিয়ে উঠে ২০ হয়ে গিয়েছে।কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। আবার হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও তুলনায় মৃত্যু বেশি। হাওড়ায় ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৮২, সংক্রমণ মুক্ত ১৫২ ও মৃত্যু ৭। এই একই সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে আক্রান্ত ১২৭, সুস্থ ও মৃত্যু যথাক্রমে ১২৭, ২৩৭ ও ৬।পশ্চিম বর্ধমানে এই তিনটি পরিসংখ্যান হল ৮৯, ১২৯ ও ৩। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংখ্যাগুলি হল ২১৮, ২৩৭ ও ২, হুগলিতে ১৩৭, ১২৯ ও ২ এবং নদিয়ায় ১০৭, ৮৭ ও ১। এছাড়া ১ জন করে মৃত্যুর খবর মিলেছে পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া থেকে। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২,৩৭,৮৬৯, সংক্রমণ মুক্তের সংখ্যা ২,০৮,০৪২। সুস্থতার হার ৮৭.৪৬। গত কয়েকদিন ধরে রোজ ৪৫ হাজারের বেশি করোনা টেস্ট হচ্ছিল।বৃহস্পতিবার হয়েছে ৪৩,৪৩২। ফলে রাজ্যের ২৯,৬৭,৯৩৯ জন বাসিন্দার করোনা টেস্ট হয়ে গেল। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণ বাড়তির দিকে যাওয়ার কারণ মেট্রো কিনা, তা কিন্তু কেউ স্পষ্ট করে বলছেন না, হয়তো বলবেনও না।এর মধ্যে আবার দার্জিলিং মেল, সরাইঘাট এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-দিল্লি রাজধানী, হিমসাগর, গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস ইত্যাদি ট্রেন চালু করার কথা চলছে। পরিণাম সম্পর্কে একটা কথাই বলা যায়, আমরা সবাই আছি এখন আল্লা ভরসায়।