কলকাতা ব্যুরো: দ্বিতীয়াতেই দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৪ হাজারে(৩, ৯৮৩) পৌঁছে গেল বাংলায়। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টার সংক্রমণ উঠে গেল ৮০০-র ওপর। রাজ্যে একদিনের মৃত্যু গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকালের রেকর্ড।একদিনে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতসব মন খারাপ করার খবর রাজ্যের জন্য। অথচ দেশের জন্য রবিবারের এই ছুটির দিনে খুব খুশির খবর শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত এক বিশেষজ্ঞ কমিটি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ও আইআইটির বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ওই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে সংক্রমণ শিখর ছুঁয়ে ফেলেছে।এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতেই থাকবে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ৬১ হাজারে নেমে যাওয়ার মধ্যে করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার প্রবণতা দেখছেন। শুধু তাই নয়, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ফেব্রুয়ারিতেই করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে এই বিশেষজ্ঞদের মত।তবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তত ১ কোটি লোক আক্রান্ত হয়ে যাবেন। এই খুশির খবর শোনানোর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ কমিটি সাবধান করে দিয়েছে, সতর্কতায় সামান্য ঢিলে দিলেও কিন্তু অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে না। কমিটির মতে, অসাবধানতায় ভিড় করলে এই পুজোর মরশুমেই অন্তত ২৬ লক্ষ লোক দেশে সংক্রামিত হতে পারেন। তাছাড়া আসন্ন শীতে সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ আসার সমূহ সম্ভাবনা আছে বলে কমিটি মনে করছে।এসব ফ্যাক্টর ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার প্রতিবন্ধক। এই রিপোর্ট নিয়ে অবশ্য দেশের বিশেষজ্ঞ মহলে ভিন্ন মতও আছে। কারও কারও মতে শিখর ছোঁয়া বা ফেব্রুয়ারিতে নিয়ন্ত্রণে আসার বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটাই ধোঁয়াশায় ভরা। ইতিমধ্যে পুজোয় প্যান্ডেল হপিং শুরু হয়ে গিয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় পুজোর আগে শেষ রবিবার কেনাকাটার বাজার সমস্ত বিধিনিষেধ ভেঙেই হয়েছে। রাজ্যে ৬৪ জনের মৃত্যুর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনারই ১৭ জন, কলকাতার ১৩ জন। এছাড়া হাওড়ায় ৭ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থতার হার কমেছে। রবিবারের পরিসংখ্যানে ৮৭.৫৫। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩,১১৩ জন।এপর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনামুক্তের সংখ্যা ২,৮১,০৫৩, মোট আক্রান্ত ৩,২১,০৩৬ জন। মৃতের মোট সংখ্যা রবিবার ৬ হাজার (৬, ০৫৬) ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা পুলিশের ২ কর্মী মারা গিয়েছেন। এই নিয়ে করোনায় কলকাতা পুলিশের ১৩ জন কর্মীর মৃত্যু হল আর এপর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার পুলিশকর্মী।