কলকাতা ব্যুরো: দেশের করোনা গ্রাফ এখন নিম্নমুখী। ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, দিল্লি। মোট ১০টি রাজ্য এখনও চিন্তার কারণ। বেশ কিছু রাজ্যে সংক্রমণ সেপ্টেম্বরেই শিখর ছুঁয়ে ফেলেছে বলা হচ্ছে।কিন্তু কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সুপার মডেল অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে এখনও সংক্রমণ শিখর স্পর্শ করতে পারেনি। ফলে দৈনিক সংক্রমণ লাফিয়ে না বাড়লেও করোনা গ্রাফের এখনও নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। একসপ্তাহ ধরে দৈনিক সংক্রমণ ৪ হাজারের বেশি থাকার প্রবণতা বহাল ছিল সোমবারেও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,১২১ জন।এর প্রায় অর্ধেক যথারীতি কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার। মৃত্যুর ক্ষেত্রেও রাজ্যের সিংহভাগ এই দুই জেলার। যদিও গত কয়েকদিনের চেয়ে দৈনিক মৃত্যু এই দুই জেলায় কিছুটা কম দেখা গিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় রবিবারের মতো আর ৯০০-র বেশি দৈনিক সংক্রমণ নেই বটে, কিন্তু সংখ্যাটা ৯০০ ছুঁয়েই আছে প্রায়। কলকাতায় আক্রান্ত ৮৯২ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৮৯।কলকাতায় এইসময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৫ জনের। সুস্থতাও বেশ ভালো এই দুই জেলায়। গত দুদিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৯৭৬ ও উত্তর ২৪ পরগনায় ৯৯৮ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমণ সোমবার সাড়ে তিন লক্ষ পার হয়ে গেল (৩, ৫৩,৮২২ জন)। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা গত কয়েকদিনের মতোই, একদিনে ৫৯ জন। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়া অন্যান্য জেলায় মৃতের পরিসংখ্যান হল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬, হাওড়ায় ৫, পূর্ব মেদিনীপুরে ২ এবং নদিয়ায় ২ জন। ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে পূর্ব বর্ধমান ও হুগলিতে।
রাজ্যে সোমবার অ্যাক্টিভ পজিটিভের সংখ্যা ৩৭,১৯০। সুস্থতার হার ৮৭.৬৪। ফলে অধিকাংশ জেলাতেই দৈনিক করোনামুক্তি বেশ ভালো। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ২৬৭, করোনামুক্ত ১৯০ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৫০ ও ১৪৯ , হাওড়ায় ২১৬ ও ২৭৭ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৭৪ ও ৯৭ জন এবং নদিয়ায় ১৬৪ ও ৩৮ জন। করোনা টেস্ট অবশ্য সোমবার আটকে ছিল ৪২,২৩১-এ।