কলকাতা ব্যুরো: দেশের সামগ্রিক করোনা চিত্র স্বস্তিদায়ক বটে, কিন্তু দিল্লি ক্রমশ ভয়ানক চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। দৈনিক সংক্রমণে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির চেয়ে অনেক এগিয়ে দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের রাজধানীতে ৭,৮০০ জন করোনা আক্রান্তের হদিস পাওয়া গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, দীপাবলি উৎসবের পর এবং শীত যত পড়বে, তত দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল জানাচ্ছে, শীতের সময় দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। মহারাষ্ট্রেও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভের পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
দিল্লি, কেরালার পর এখন দৈনিক সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি বাড়ছে হরিয়ানায়। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭০০। সামগ্রিক ভাবে দেশের দৈনিক সংক্রমণে উল্লেখযোগ্য অংশীদারী এখনও মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটকের। তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশেও সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। লকডাউন জারির পর শনিবার ২৩৬তম দিন পর্যন্ত দেশে সংক্রামিতের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭,৭৩,৪৭৯। দৈনিক সংক্রমণ অবশ্য টানা একসপ্তাহ ৫০ হাজারের নীচেই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪,৬৮৪। অ্যাক্টিভ পজিটিভ এইনিয়ে চতুর্থ দিনেও ৫ লক্ষের নীচে রয়েছে।
শনিবারের পরিসংখ্যানে সংখ্যাটা ৪,৮০,৭১৯, আগের দিনের চেয়েও কিছুটা কম। দৈনিক মৃতের সংখ্যা অবশ্য ৫০০-র ওপরেই থাকছে গত কয়েকদিন ধরে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংখ্যাটা ৫২০। ফলে করোনায় এপর্যন্ত আমরা মোট ১,২৯,৮৮৮ জন সহনাগরিককে হারিয়েছি। যদিও সুস্থতার হার বেড়েই চলেছে বলে আক্রান্ত ও করোনামুক্তের ফারাক ক্রমশ কমছে। দেশে শনিবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৮৭,৭৩,৪৭৯ আর সংক্রমণ মুক্তের সংখ্যা ৮১,৬৩,৫৭২। সুস্থতার হার এখন ৯২.৯৭, অর্থাৎ প্রায় ৯৩ শতাংশ আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version