কলকাতা ব্যুরো: দিল্লি নিয়ে উদ্বেগের পারদ চড়লেও দেশের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতির কিন্তু আরও উন্নতি হয়েছে। পাক্কা চার মাস পর দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের নীচে নেমে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৯,১৬৪। যদিও মনে করা হচ্ছে, করোনা টেস্টের সংখ্যা অনেক কমে যাওয়ায় করোনা পজিটিভ চিহ্নিতকরণ কমে যাচ্ছে।
দেশে দৈনিক টেস্ট এখন ১০ লক্ষেরও কম হচ্ছে। গত চারদিন ধরে ৮ লক্ষের সামান্য কিছু বেশি টেস্ট হচ্ছে। তবে অ্যাক্টিভ পজিটিভের হার আবার বেড়েছে। আবার ৫ শতাংশের ওপরে উঠে গিয়েছে। মঙ্গলবারের পরিসংখ্যানে অ্যাক্টিভ পজিটিভের সংখ্যা ৪,৫৩,৪০১। এক সপ্তাহ ধরে এই সংখ্যা ৫ লক্ষের নীচে রয়েছে বটে, কিন্তু মোট সংক্রামিতের নিরিখে হার বেড়ে হয়েছে ৫.২৬। এই হার কিন্তু ৫-এর নীচে নেমে গিয়েছিল। আবার এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা উদ্বেগজনক।
দেশে মোট সংক্রামিতের সংখ্যা এখন ৮৮,৭৪,২৯১। মোট করোনামুক্ত এখন ৮২,৯০,৩৭১ জন। লকডাউন শুরু হওয়ার ২৩৯ দিন পর সুস্থতার হার মঙ্গলবার হয়েছে ৯৩,২৭। দৈনিক মৃত্যু গত ৪ দিন ধরে ৪৫০-এর কম আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩০ জনের। ফলে দেশে করোনার মোট বলি ১,৩০,৫১৯ জন।
এদিকে সংক্রমণের ঢেউ দেখে লকডাউন নিয়ে অবস্থান বদল করতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার। অন্তত বাজারগুলিতে লকডাউন জারি করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি চেয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। দিল্লি সরকার মনে করছে, বাজারগুলি যত নষ্টের গোড়া। এগুলো করোনা সংক্রমণের হটস্পট। তাই শুধু বাজারকে লকডাউনের আওতায় আনার এই ভাবনা।
দিল্লি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতির আরও উন্নতি
Previous Articleভারত ও চীন দুই দেশেই স্পুটনিক’ V ভ্যাকসিন তৈরি হতে পারে : পুতিন
Next Article রাজ্যে আবার দিনে সংক্রমণ সাড়ে চার হাজার ছাড়ালো
Related Posts
Add A Comment