কলকাতা ব্যুরো: রাষ্ট্রপত্নী বিতর্কে এবার বিজেপিকে পাল্টা চাপে ফেলার কৌশল নিল কংগ্রেস। লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বক্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তিনি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য বাদ দিতে বলেছেন।
অধীরের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সংসদে বারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাষ্ট্রপতি বা ম্যাডামের পরিবর্তে শুধুই দ্রৌপদী মুর্মু বলে অভিহিত করেন রাষ্ট্রপতিকে। এতে রাষ্ট্রপতির মর্যাদাহানি ঘটেছে। একই সঙ্গে অধীরের আরও দাবি, তাঁর মন্তব্য ঘিরে যে বিতর্ক চলছে, তাতে অযথা সোনিয়া গান্ধীর নাম জড়ানো হয়েছে। ওইদিন সোনিয়া গান্ধী সংক্রান্ত বক্তব্যও কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিতে হবে।
দিন কয়েক আগে সংসদ ভবনের বাইরে বিরোধীদের ধরনা চলাকালীন এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস সাংসদ অধীর একবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপত্নী বলে উল্লেখ করেন। তা নিয়ে বিজেপি সংসদের ভিতরে ও বাইরে তুমুল হল্লা করে। স্মৃতি ইরানি এর জন্য সোনিয়া গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে বলেন। তাঁর সঙ্গে সোনিয়ার তীব্র কথা কাটাকাটিও হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, ওইদিন বিজেপির সাংসদরা সংসদের ভিতরেই সোনিয়া গান্ধীর উপর চড়াও হন।
অধীর অবশ্য বারবার দাবি করেন, তাঁর মুখ ফস্কে ওই মন্তব্য বেরিয়ে গিয়েছে। তিনি দরকার হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইবেন। আর সোনিয়া গান্ধীর ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। শুক্রবার অধীর চিঠি লিখে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। শনিবার তিনি লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে পাল্টা চাল চাললেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।অধীর রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেও বিজেপি ইস্যুটি হাতছাড়া করতে চাইছে না। সূত্রের খবর, সোমবারও বিজেপি সংসদের দুই কক্ষে বিষয়টি নিয়ে হইচই করার পরিকল্পনা করেছে। সংসদের অধিবেশন শেষ হলে তারা রাজ্যে রাজ্যে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রচার চালাতে চায় যে, কংগ্রেস আসলে আদিবাসীদের সহ্য করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে ওই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে।