কলকাতা ব্যুরো: (ছবি- সামাজিক মাধ্যম) কোন মিষ্টি কবে তৈরি, ট্রেতে আলাদা আলাদা ভাবে তার তারিখ উল্লেখ করতে হবে। শহরের প্রতিষ্ঠিত মিষ্টির দোকান থেকে পাড়ার মিষ্টির দোকানগুলিকেও মানতে হবে এই নিয়ম। যেমন দুদিনের বেশি আগের তৈরি রসগোল্লা না খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের। সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে এফএসএসএআই। বাধ্যতামূলক ভাবে মিষ্টির দোকানগুলিকে ১ অক্টোবর থেকে তা করতে বলা হয়েছে।

যদিও এই নির্দেশিকা তাদের পক্ষে মানা সম্ভবপর নয় বলেই জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি। সংগঠনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ পাল বলেন, এখনই এটা কিভাবে মানা সম্ভব ? এটা মানতে গেলে মিষ্টির দামও বেড়ে যাবে। তিনি বকেন, ক্রেতাদের স্বাস্থ্যের কথা আমরা সব সময়েই মাথায় রাখি। কিন্তু মিষ্টির দোকানগুলোতে ৫০-১০০ টি করে ট্রে থাকে। রোজ রোজ তাতে তারিখ লিখবে কে ? যারা জিলিপি ভেজে কিংবা নিমকি, তারাও রয়েছে এর আওতায়। তাদের বেশিবভাগই নিজেদের নামটুকুও সই করতে পারে না। তারা কি লোককে বাড়তি টাকা দিয়ে একাজ করাবে? প্রশ্ন সংগঠনের।

তাদের দাবি, এ নিয়ে বারেবারেই আমরা চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু কোনো কথাই শোনা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মিস্টি ব্যবসায়ীদের পক্ষে ওই নির্দেশ মানা সম্ভব নয় বলে জানান রবীন্দ্রনাথ পাল।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version