কলকাতা ব্যুরো: হিমাচল প্রদেশ বা উত্তরাখণ্ডে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যেই ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে দার্জিলিং। আবার অন্যদিকে সমুদ্র উপকূলের বাংলার পর্যটন কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন দার্জিলিং নিয়ে সর্তক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
তবে যেভাবে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত বিভিন্ন রাজ্যের কিছু জেলায় পর্যটকের ভিড়ে সংক্রমণ বাড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লার নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয় দিল্লিতে। সেই বৈঠকে মহারাষ্ট্র, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখান্ড, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থানের মতো যেখানে পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় বেশি হচ্ছে, সেই রাজ্যগুলির প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় দল।

কোনভাবেই যাতে দূরত্ব বিধি লংঘন না হয় এবং করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, রাজ্যগুলিকে বারংবার সে ব্যাপারে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টভাবেই জানাচ্ছেন, এখনো দেশ থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হয়ে যায়নি। এরইমধ্যে তৃতীয় কেউ আসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় যেভাবে সরকার কিছুটা ছাড় দেওয়ার পরেই পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে বেসামাল ভিড় হচ্ছে তাতে করোনা আবার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ রাজ্যের দার্জিলিং এবং দীঘায় মোটামুটি পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। দীঘায় প্রায় কোন হোটেলে ঘর আর ফাঁকা নেই। দার্জিলিংয়ে যথেষ্টই ভিড় হোমস্টে এবং চালু থাকা হোটেলগুলোতে। আর গত কয়েকদিনে দার্জিলিঙে করোনা সংক্রমণ রীতিমতো উদ্বেগের তৈরি করেছে প্রশাসনের মনে। দুদিন আগেই যেখানে কলকাতায় ২৪ ঘন্টায় বারোশো মানুষের সংক্রমণ হয়েছিল, সেখানে ওই একসময় দার্জিলিঙে হয়েছিল ১৫৪২ জনের। এখনো দৈনিক সংক্রমণ যথেষ্টই উদ্বেগজনক পাহাড়ে। আর এর কারণ হিসেবে উঠে আসছে পর্যটকদের ভিড় করা। কোনোরকম করোনা বিধি না মানা, এই সংক্রমণ এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আবার রাজ্যে বাঙালির অন্যতম বেড়ানোর জায়গা দিঘাতে হোটেল গুলিতে ঠাই নাই রব। দিঘার সঙ্গে শংকরপুর, মন্দারমনিতেও পর্যটকদের ভিড়। যদিও পূর্ব মেদিনীপুরে শনিবার ২৪ ঘন্টায় ২৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু যেভাবে হোটেলগুলোতে ভিড় বাড়ছে এবং সমুদ্রে কোন দূরত্ব না মেনেই মানুষ স্নান করতে নামে, তাতে সংক্রমণ প্রবল বেগে ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন কেও গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version