কলকাতা ব্যুরো: কয়লা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রর জামিনের আবেদন খারিজ করলো আসানসোলের বিশেষ আদালত। পরবর্তী শুনানি ৫ জানুয়ারি। যদিও হাসপাতালে থাকার দরুন চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া এখনই তাঁকে জেরা করতে পারবেন না তদন্তকারীরা বলে জানা গিয়েছে।    

বিকাশ মিশ্রর আইনজীবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি হাজির হননি কারণ তাঁর শরীর অসুস্থ। কয়লা কাণ্ডে সিবিআই কোর্টে পরবর্তী শুনানি পাঁচই জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। বিকাশকে আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয়নি বলে পরবর্তী শুনানি ৫ জানুয়ারি রাখা হয়েছে। সিবিআই আইনজীবী বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করে বিকাশ মিশ্রকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তোলা হোক। তারপর আদালতে তাঁকে হাজির করানো হোক।

যদি তাই হয় তাদের তদন্তে অনেকটাই সুবিধা হবে। তাছাড়া তদন্ত নাকি ঠিকমত করা যাচ্ছে না। বিচারক এই মর্মে এখনও কোনোও নির্দেশ জারি করেন নি। দীর্ঘদিন ধরে কয়লা কাণ্ডে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি ও সিবিআই। কয়েকদিন আগে বিকাশকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এরপর তাঁকে তোলা হয়েছিল আসানসোলের সিবিআই আদালতে। তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ওইদিনই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিকাশ। ওইদিন রাতেই তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।

যদিও এখনও পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকায় বিকাশকে জেরা করতে পারছেন না সিবিআই তদন্তকারীরা। কিন্তু ঠিক কী সমস্যার কারণে জেল থেকে তাঁকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে? কেমন আছেন কয়লা পাচার কাণ্ডে ধৃত বিকাশ? তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিক কী? এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তর চেয়ে হাসপাতাল ও সংশোধনাগারে চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই। আজ মামলার শুনানি চলাকালীন বিকাশের শারীরিক অবস্থার যাবতীয় তথ্য আদালতে জানায় সিবিআই।

প্রসঙ্গত, গত মাসে কয়লা কাণ্ডে বড়সড় পদক্ষেপ করে ইডি-ও। অনুপ মাজি ওরফে লালা, বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার মধ্যে রয়েছে বাড়ি, গাড়ি ও জমিও। চলতি বছরের শুরুতে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডের কিনারায় সিবিআইয়ের তৎপরতা দেখে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্র বাংলা ছেড়ে মুম্বই হয়ে পালিয়ে যান দুবাইয়ে। এরপর একাধিকবার ভিনদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করেই গা ঢাকা দেন তিনি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version